পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বর্গচ্যুত

পকেটে হাত পূরে গম্ভীর হয়ে বাইরে এসে সুগন্ধি চুরোটে একটা টান্ দিয়ে বল্লেন, “আশা নেই।”

 কি নির্ঘাত সে শব্দ! আর্ত্তভাবে দুই হাতে মুখখানা ঢাকা দিলুম, হা’রে আমার আশাহীন চিত্তের আশা! হা আমার স্বর্গ!

 না। কে বলে আশা? নেই ভ্রান্তি! ভ্রান্তি! আছে বই কি আশা! ডাক্তার-ওরা কি জানে? কতটুকু শক্তি ওদের? আমি—ওকে বাঁচাবো। হ্যাঁ এই দৃঢ় চিত্তের সবটুকু বল দিয়ে, এই একান্ত হৃদয়ের নির্ম্মল নিঃস্বার্থ স্নেহধারা ঢেলে সেই, সঞ্জীবনী সুধায় ওই শুষ্ক লতা গাছটিকে—এই আমিই সঞ্জীবিত করে তুল‍্বো—পার‍্বো না? ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বড় জগতে কোন্ শক্তি আছে? এই প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরে এসংসারে কি না বিপ্লব এই ক্ষুদ্র মানবশক্তির দ্বারায় সংঘটিত হয়েছে! এই শক্তির পূর্ণ প্রয়োগে মানুষ সর্ব্বক্ষম ঈশ্বরে পরিণত হতে কেন না পার‍্বে? দেখি কে কেড়ে নিতে পারে ওই কচি প্রাণটিকে, এই বিশাল প্রাণের ভেতর থেকে! স্বয়ং বিধাতা আজ এসে দাঁড়ালেও

৪৭