পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

92N sits রান্ত্রি। ইন্দোরের স্কুলে যখন পৌছিলাম, তখন রাত্রি এগারটা। দেখি শ্ৰীমান শৈলেন্দ্ৰনাথ আমাদের অপেক্ষায় ব’সে আছেন। সেই রাত্ৰিতে শৈলেন্দ্রের বাড়ীতে আমার আর নরেন্দ্রের অবস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে; সাহিত্য-সম্মেলনের অভ্যর্থনা-সমিতির ব্যবস্থা সেইদিন প্ৰাতঃকালেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন সেই রাত্রি এগারটার পর জিনিসপত্র নিয়ে টঙ্গায়। আরোহণ করে রেসিডেন্সির সীমানার মধ্যে শ্ৰীমান শৈলেন্দ্রের বাসায় খাওয়া গেল। তারপর প্রচুর আহারের পর নিদ্রা—বলতে গেলে দুই রাত্রির পর এই নিদ্ৰা ! কথা ছিল, পরদিন প্ৰাতঃকালে আহারাদি শেষ করে আমরা ওঁকারনাথ দেখতে যাব এবং সেখান থেকে অজন্তায় যাব । আমরা দুইজন ছাড়া আরও সুইজন আমাদের সঙ্গী হবেন বলেছিলেন ; তঁরা আমাদের সঙ্গে বোম্বাই পর্যন্ত যাবেন । তারা মাণ্ডুতেও আমাদের সঙ্গী ছিলেন। ইন্দোরে এসে তঁরা অন্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তঁরা গোরক্ষপুর থেকে এসেছিলেন। বলেছি, পরদিন ৩১শে ডিসেম্বর সোমবার ইংরাজী বৎসরের শেষ দিন আমরা ইন্দোর ত্যাগ করব! কিন্তু, ইন্দোরের বন্ধুদের ষড়যন্ত্রে তা হােলো । নী। সকলেই বললেন, একটা দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম না করলে দাদা নাকি । নিশ্চয়ই মারা যাবেন ; সুতরাং তঁরা আমাদের কিছুতেই সেদিন ছাড়লেন। নী-আমাদের সারাটা দিন-রাত ইন্দোরে থাকতে হলো ; ওঁকারনাথ দেখুৱার বাসনা ত্যাগ করতে হলো । ইন্দোরেই ইংরাজী ১৯২৮ অব্দের শেষ দিন বন্ধুবান্ধবগণের সঙ্গে মহানন্দ কাটানো গেল। পরের দিন। ১লা জানুয়ারী ১৯২৯ ইন্দোর ত্যাগ। ২hর পর থেকে যা লেখা হয়েছে, তা আমি লিখিনি ; अभींद्र ভ্ৰমণ-সঙ্গী, অবলম্বন-যষ্টি, সোদরোপম, সুকবি শ্ৰীমান নরেন্দ্র দেব লিখেছেন। তাকেই দাবি লিখতে অনুরোধ করেছিলাম ; তিনি সে অনুরোধ রক্ষা করেছেন।