পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাম্ভাৱ পথে כלכלכלי আসার যা কিছু কাহিনী, সে সমস্তই শ্ৰদ্ধেয় জলধরদাদা আপনাদের শুনিয়েছেন। এইবার, ইন্দোর থেকে বােম্বাই পৰ্যন্ত যাওয়ার গল্পটুকু আপনাদের শোনাবার ভার দাদা আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। ; আমি কখন ভ্রমণ-বৃত্তান্ত লিখিনি সুতরাং পথের খবর যে দাদার মতো সরস ক’রে আপনাদের শোনাতে পারবাে, সে স্পৰ্দ্ধা আমার নেই। তবু যে লিখতে বসেছি, সে শুধু দাদার হুকুম তামিল করবার জন্যে। পয়লা জানুয়ারী বেলা বারোটার সময় আমরা ইন্দোর ছেড়ে অজস্তা অভিমুখে রওনা হলুম। ইন্দোর কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত শৈলেন্দ্রনাথ ধর, যার গৃহে আমরা সম্মেলনান্তে দিন দুই আশ্রয় নিয়েছিলুম, তিনি, বারোটার মধ্যেই আমাদের মধ্যাহ ভোজের জন্য বহুবিধ আয়োজন ক’রেছিলেন ; এবং রাত্রে পথের প্রয়োজনের জন্য র্তার স্নেহময়ী জননী প্রচুর খাদ্য-সামগ্রী প্ৰস্তুত ক’রে আমাদের সঙ্গে দিয়েছিলেন। যে দু’দিন আমরা শৈলেনবাবুর অতিথি হ’য়েছিলুম, সে দু’দিন তার মাতাঠাকুরাণী । আমাদের এমন আদর-যত্ন করেছিলেন যে, আমরা যে বাড়ী ছেড়ে বিদেশে । এসে আছি, এ কথা একবারও মনে হয়নি। আমাদের ট্রেনে তুলে দিয়ে যাবার জন্য ইন্দোরের বাঙালী বন্ধুরা অনেকেই ষ্টেশন পৰ্যন্ত এগিয়ে এসেছিলেন। শৈলেন বাবু তো সঙ্গে । ছিলেনই ; তা ছাড়া পি, ডব্লিউ, ডির নীলমণি বাবু, সম্মেলনের সম্পাদক । প্রমথবাবু” ওখানকার পণ্ডিতমশাই এবং ডাক্তার রূদ্রোিন্দ্ৰ পাল প্রভৃতি একাধিক ভদ্রলোক এসে আমাদের জিনিসপত্র সব গাড়ীতে তুলে দিয়ে । আমাদের সাদর বিদায় অভিনন্দন জানিয়ে গেলেন । বি, বি, সি, আই রেলের খাণ্ডোয়া-আজমীর লাইনে সব মিটার গেজের ছোট গাড়ী। কাজেই তার কামরাগুলিও খুব ছোট। আমরা একখানি সেকেণ্ড ক্লাশ গাড়ী একেবারে খালি পেয়েছিলুম। দু’জনে