পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অঞ্জন্ত৷ বেলা সাড়ে নটার মধ্যেই আমরা অজন্তার গিরি-গুহাবলীর মুণে গিয়ে পৌঁছলুম। একটি ক্ষুদ্র পাৰ্বত্য স্রোতস্বিনীর তীরে এক অৰ্দ্ধ । চন্দ্ৰাকৃতি অনাতি-উচ্চ পৰ্বত যেন সোজা উপরে উঠে গেছে। কোথাও এতটুকু ঢালু নয়। নীচে থেকে উপরের পাহাড়ের গায়ে অসংখ্যা । স্তম্ভ ও তােরণ দেখে মনে হচ্ছিল, আমরা যেন কোনও প্রাচীন রাজ্যের এক বিরাট পাৰ্বত্য-প্রাসাদের সম্মুখে এসে পড়েছি। পাৰ্বত্য নদীটির নাম শুনলুম। “বাঘোরা”! এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি সুন্দর! চারিদিকে যেন তপোবনের একটা স্তব্ধ শান্তি বিরাজ করছে! মহামান্ত নিজাম বাহাদুর অজন্তা-দর্শনাভিলাষী তীর্থযাত্রীদের জন্য পাহাড়ের উপরে পৌঁছবার চমৎকার একটি সিঁড়ি তৈরী ক'রে দিয়েছেন!! সেই সিঁড়ি দিয়ে আমরা পাহাড়ের উপরে উঠে গেলুম। পাহাড়টি প্রায় ২৫০ ফিট উঁচু হবে। অশ্বথুরের মত একদিক থেকে আর একদিক পৰ্যন্ত ঘুরে গেছে। প্রথমেই ১নং গুহা। এই এক নম্বর গুহার একধারে দেখলুম একটি ছোট্ট চায়ের দোকান রয়েছে। এখানে চা, কেক, রুটি ও ডিম পাওয়ী যায়। ‘গুহা’ বলতে যে সন্ধীর্ণ পৰ্বত-গহ্বরের কথা আমাদের মনে रु,' এগুলি তা নয়। এই গুহাগুলিকে পৰ্বত-কান্দরন্থ প্রাসাদ বলা চলে । এক নম্বর গুহা থেকে আরম্ভ ক’রে প্রায় পাশাপাশি ২৯টি গুহায় এই অৰ্দ্ধচন্দ্ৰাকৃতি পাহাড়টি যেন শিল্পীর মৌচাক হ’য়ে আছে। গুহাগুলি