ਭਵਣ שכי যারা বোম্বাই থেকে পুনায় গিয়েছেন, তাদের মুখে শুনেছি যে সে পথে চব্বিশ । পাঁচিশটা এই রকম সুড়ঙ্গ আছে। সুপ্ৰসিদ্ধ মাও সহর পার হয়ে একটা জল-প্রপাতও দেখতে পাওয়া গেল। মাও ষ্টেসনে পৌছবার পূর্বে দূত্র থেকে সহরটীি দেখে আমার মনে হয়েছিল। ঐ বুঝি ইন্দোর রাজধানী। সুরেন্দ্রবাবু সে ভ্রম সংশোধন করেছিলেন। তবে এ কথা বলতে পারি, মাও সহরে এত কল-কারখানা, এত বড় বড় অট্টালিকা, এমন সুন্দর প্ৰশস্ত রাজপথ যে, নবাগতের পক্ষে এ সহরটিকে ইন্দোর ব’লে ভ্ৰম করা আশচর্যের বিষয় নয় । ইন্দোর ষ্টেসনে আমাদের জন্য একদল স্বেচ্ছাসেবক অপেক্ষা করাছিলেন। তঁরা সংখ্যায় কুড়ি পচিশ জন হবেন ; তাদের মধ্যে তিন চার জন মাত্র বাঙ্গালী যুবক— ইন্দোরের মেডিকেল স্কুলের ছাত্র ; আর সবাই মারাঠা । আর উপস্থিত ছিলেন আমারই স্বগ্রামবাসী, গ্রামসম্পর্কে দৌহিত্র ইন্দোর কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক শ্ৰীমান শৈলেন্দ্রনাথ ধর এম-এ এবং এখানকার মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক শ্ৰীমান রূদ্রোিন্দ্ৰকুমার পাল এম-এসসি, এম-বি। তারা আমাদের পরম সমাদরে অভ্যর্থনা করলেন ; স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের বাক্স বিছানা নিয়ে উধাও হয়ে গেল। আমরা ষ্টেসনের বিশ্রামাগারে গেলাম। সেখান থেকে টঙ্গায় আরোহী হয়ে সহরে প্রবেশ করা গেল । তঁদের কাছেই শুনলাম, আমাদের যেতে হবে মহারাজা শিবাজি রাও হাইস্কুলে। সেখানেই সকলের বাসস্থান নির্দিষ্ট হয়েছে ; আর সেই স্কুলের প্রকাণ্ড হলেই সম্মেলনের অধিবেশন হবে ; আমাদের আর হাটহঁাটি করতে হবে না। মহিলা-প্ৰতিনিধিরাও এই বিদ্যালয়ের এক অংশে থাকবেন ; শিল্প-প্ৰদৰ্শনীও এই বিদ্যালয়ের কক্ষান্তরে বসবে। মূল সভাপতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের মাননীয় * বিচারপতি শ্ৰীযুক্ত লালগোপাল মুখোপাধ্যায় মহাশয় ইন্দোর রাজ্যের
