পাতা:মধ্যভারত - জলধর সেন.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'-Neटाउ2न्मड्ट s শ্রাবণ মাসের চারি সোমবারে চারি প্রকারের সেবা উপলক্ষে সমাগত ভক্ত হৃদয়ে যে ভাবে আনন্দ প্ৰকাশ পায়, তা বর্ণনা করা যায় না। সন্ধ্যার পর এই পবিত্র মন্দির-ভূমি ত্যাগ করে পথের মধ্যে শ্ৰীগোপীলজি দৰ্শন করে হরিদাস বাবুর বাড়ীতে এসে হাত পা ছড়িয়ে বসা গেল। তখন আর এক বিভ্ৰাট ; হরিদাস বাবু বলছেন, এই টঙ্গা পাঁচখানির সারাদিনের ভাড়া তার দেয়। আমাদের সঙ্গীরা সে কথায় কিছুতেই সম্মত হতে চাচ্ছেন না। সে কি কথা মাষ্টার বাৰু ? টঙ্গা ভাড়া আমরা দেব। আপনি কিছুতেই দিতে পারবেন না। অনেক বাকবিতণ্ডার পর এই সিদ্ধান্ত হোলো যে, টঙ্গাওয়ালাদের বিদায় আমরাই করব ; আর উজ্জয়িনী থেকে ইন্দোর ফিরবার সবাইকার রেলের টিকিট হরিদাস বাবু করে দেবেন এবং সে টিকিট একশ-এগার নম্বর গাড়ীর। তখন চা-পান, জলযোগ ও বিশ্রাম। পূর্বদিন সারারাত্রি জাগরণ গিয়েছে, তার পর এই সারাদিন ভ্ৰমণ, সুমুখের রাত্রিটাও জাগরণ ! এই স্থানে শ্ৰীযুক্ত হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের একটু সামান্ত পরিচয় না দিলে উজ্জয়িনীর কথাই অসমাপ্ত থেকে যাবে। পূর্বেই বলেছি, উজ্জয়িনীতে তিনিই হচ্চেন একমেবাদ্বিতীয়ম বাঙ্গালী। তিনি পূর্বে গোয়ালিয়র স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কয়েক বৎসর হোলো উজ্জয়িনী স্কুলে বদলী হয়েছেন। এখানে এসে তিনি এক নূতন প্রতিষ্ঠান খুলে বসলেন। ইংরাজীতে যাকে Coaching class বলে, তাই আর কি ; অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্য ছেলে তৈরীর ক্লাস খুলবার সঙ্কল্প র্তার মাথায় এসেছিল। তঁরই স্কুলের কয়েকটি ছেলে নিয়ে তিনি প্ৰথমে সামান্য ভাবে এই ক্লাস , খোলেন। এখন এই কোচিং বিদ্যালয়ে পার্চ ছয় শত ছাত্র। বাঙ্গালী ছাড়া অন্যান্য সকল প্রদেশ থেকেই দলে দলে