পাতা:মনোরম্য পাঠ - প্রথম ভাগ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৪৯ ) অত্যন্ত শোকাকুল ছিলাম; এবং' অপমাকে পুনর্বার না দেখিলে আমার মনোবেদন দূর ইত না। ইহা বলিয়া সে ২৮ ডলুন (মুদ্র পূরিত এক ভেড়াঁ বাহির করিয়! আমাকে তাঙ্ক গ্রহণ করিতে প্রার্থনা করিল, এবং কহিল, অামি ইহ; সমুদায় ভিক্ষ দ্বারা সঞ্চয় করিয়াছি । আমি অনায়াসেই ভিক্ষ দ্বারা প্ৰাণ ধারণ করিতে পারি, কিন্তু স্ত্রীজাতিরা ভিক্ষা করিতে পারে না । অতএব, তাহারা ধন না থাকিলে, আন্নাচ্ছাদন অভাবে নিধন প্রাপ্ত হইতে পারে । আমি ঐ দরিদ্রের বদান্যতায় চমৎকৃত কইয়া তাঙ্গকে ধন্যবাদ প্রদান করিয়া কহিলাম, তোমার দুরবস্থা দূর হওয়াতেই আমি বিস্তর ধন পাইলাম ; এবং তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, যে তোমার এরূপ অশক্তাবস্থা দেখিয়া, তোমার প্রস্তু কি প্রকারে তোমাকে ভিক্ষালব্ধ আহার দ্বারা জীলন ধারণ করিতে দিয়াছেন ? সে কহিল, আমি এইক্ষণে কৰ্ম্ম করিতে অক্ষম হইয়াছি, অতএব, আমার প্রভু আমাকে পরিত্যাগপূর্বক ভিক্ষা করিয়া জীবন ধারণ করিতে, অথবা অনাহারে প্রাণ ত্যাগ করিতেই আদেশ করিয়াছেন ; আমি শিশুকালাবধি তাহার ভূতা ছিলাম, ও কেবল র্তাহার নিমিত্তেই কঠিন পরিশ্রম করিতে শরীরে এই সমস্ত ক্ষত হইয়াছে। ইহা শুনিয়া আমি তাহাকে আরো কিছু মুদ্রা দান করিলাম, এবং ভাহা অপকৃত হইবার আশঙ্কায় ঐ বিষয় তাহাকে অপ্রকাশ রাথিতে বলিয়া, আপন আলয়ে আগমন করিলাম। wo