পাতা:মনোরম্য পাঠ - প্রথম ভাগ.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ¢१ ) ভাগিল। পরে আলোক আনিলে প্রকাশ হইল, যে কুকুর তাহার সেই প্রিয়তম তৃত্যকেই দস্তাঘাত করিয়াছে। ঐ ভূতের প্রথমে এমত বোধ হয় নাই, যে কুকুর এরূপ আঘাত করিবে । অতএব, সে প্রভুর অনুমতি ব্যতিরেকে, অসময়ে অকস্মাৎগৃহপ্রবেশ করণের দোষ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিল; এবং তাহার আগমনের নানা অযৌক্তিক ও অলীক কারণ প্রদর্শন করিতে লাগিল। কিন্তু কুকুরের চীৎকার ধনি, অসময়ে সে স্থানে ভৃত্যের প্রবেশ, এবং তাহার মলিন বদন ইত্যাদিদ্বারা সৰ্ব হারি লী অত্যন্ত সন্দিগ্ধচিত্ত হইয়া, ঐ ব্যাপারের বিশেষ তথ্যসুসন্ধানার্থ এক বিচক্ষণ বিচারকের প্রতি ভারাপণ করিতে মানস করিলেন । ঐ বিশ্বাসঘাতক ভৃত্য মনোমধ্যে এই বিবেচনা করিল, যদি মনোগত অভিপ্রায় ব্যক্ত না করি, তবে আমার বিশেষ দগু হইতে পারে ; এবং ব্যঞ্জ করিলে ক্ষম পাইলেও পাইডে পারি। এই রূপ সন্দিগ্ধমনা হইয়া সে অবশেষে কছিল, হে মহাশয় ! আমি দুৰ্বদ্ধি বশডঃ আপনার প্রাণদণ্ডপূর্বক ধনরত্ব সমস্ত অপহরণ করিতে মানস করিয়াছিলাম । ইহাতে স্পষ্টই প্রভীতি হইতেছে যে কেবল কুকুরের স্বভাৱসিদ্ধ অলৌকিক শক্তি প্রযুক্ত তাহার দুষ্ট অভিসন্ধি সিদ্ধ হইতে পারে নাই। আর ইহাতে নিতান্তই অমুক্তল হইতেছে, যে সর হারি লীর প্রতি পরমকারুণিক পরমেশ্বর সুপ্রসন্ন ছিলেন, এই নিমিত্তই ঐ পশু জাতি কুকুরের মনে এরূপ প্রভুভক্তি উদয় হইয়াছিল। নচেৎ কি প্রকারে সে এই ব্যাপার অবগত হইতে পারিবে,