পাতা:ময়লা ছুঁইলে শাস্তি পাইবে.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখাজী : তাই আজ মিঃ সেন তুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে নিচ্ছেন । শেঠজী : হ্যা, বহুত দুঃখক বাত। ইস্লিয়ে সেন বাবুক মনমে শাস্তি নাহি রত । ( পয়সা দিল ) চ্যাটাজী : চলুন, আর দেরী করে লাভ নেই। শেঠজী : হ্যা চালিয়ে ( প্রস্থান ) [ ২য় ভিক্ষুকটি উঠে বাড়ীর দিকে পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় ] মানিক : মা জল খাবো । [ ইন্দ্রানী একটা ভাঙ্গা হাড়ির থেকে জল দেয়। বাড়ীর ভেতর থেকে ভিক্ষুকের কণ্ঠস্বর শোনা যায়, “বাবা, বাবা, গরীবকে কিছু খেতে দিন। আজ ৪ দিন ধরে কিছু খাইনি। বাবা ভগবান আপনার মঙ্গল করবেন কিছু খেতে দিন’ ] ইন্দ্রানী ; ওগো কি ভাবছ ? হরিপদ : না, ভাবছি যার ক্ষিধে নেই তাকে খাওয়াবার জন্য কত পীড়াপীড়ি। কিন্তু যে ক্ষিধের জ্বালায় মরতে বসেছে, তাকে কেউ ডেকেও জিজ্ঞাসা করে না । আজব দুনিয়া, আর আজব তার মানুষ । [ ভিতরে অশোকের গলা শোনা যায় – “ বেরো-বেরো, হতভাগা, যতসব ভাগাড়ের কুকুর ” ধাক্কা মেরে ভিক্ষুকটিকে বের করে দেয়। শক্ত সবল হাতের ধাক্কা সামলাতে না পেরে ডাষ্টবিনের কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়। ঠিক এমনি সময় উপর থেকে এটো পাত ডাষ্টবিনের উপর পড়ে, লোকটি ব্যগ্র হয়ে পাতার উপর বুকে পড়ে তুলে নেয়-হরিপদ হিংস্রভাবে ভিক্ষুকের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, দুজনে পাতা নিয়ে কাড়াকড়ি লেগে যায়। দূরে পুলিশের গলা শোনা যায় ’’ এই কেয়া কৰ্ত্তা । হল্প কৰ্ত্ত কাহে ’ । ছাবিবশ