পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भद्रgeठू ७का दाgअ বিমল চোখ বুজলে-ও-ও-বেশ বুঝলে এই ষেশ । সেই দুজন চীনা তরুণী নাস, যারা ওর পেছনে এসে আশ্রয় নিয়েছিল --তারা ভয়ে দিশাহারা হয়ে চেচিয়ে উঠলো। হাসপাতালের সবাই বিমলকে ভালবাসতো। এমনসময় বিমলের কাণে গেল পেছন থেকে একটা সামরিক আদেশের ক্ষিপ্র, স্পষ্ট, তীক্ষা সুর । জাপানী ভাষায় হোলেও তার অর্থ যেন কোন অদ্ভুত উপায়ে বুঝে ফেলে চোখ চাইলে । দরজার কাছে দাড়িয়ে একজন জাপানী সামরিক কৰ্ম্মচারী, লেফটেন্যাণ্টের ইউনিফৰ্ম্ম পরা । সৈন্তের তুতক্ষণ বেওনেট নামিয়ে একপাশে দাড়িয়েছে । জাপানী অফিসাবটী এগিয়ে এসে জাপানী ভাষাতেই কি প্রশ্ন করলে । তিন চারজন সৈন্য একসঙ্গে ওর দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে কি বল্লে। জাপানী অফিসার বিমলের দিকে চেয়ে ভাঙা ইংরেজিতে বল্লে-তুমি আমার সৈন্যদের গালাগালি দিয়েছ ? বিমল বল্লে-তোমার সৈন্যরা কি করেছে তা আগে দেখি । এটা রেডক্রস হাসপাতাল । এখানে কেউ যোদ্ধা নেই। অকারণে তোমার সৈন্যেরা আমার ওই রোগীটিকে খুন করেছে বেওনেটের ঘায়ে । জাপানী ‘অফিসার একবার তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে রক্তাক্ত বিছানা ও মৃত রোগীর দেহটার দিকে চেয়ে দেখলে এবং তারপর সম্ভবতঃ ভৎসনার সুরে সৈন্যদের কী বিল্লে । তারপর বিমলের দিকে চেয়ে বল্লে—তুমি কোন দেশের লোক ? --ভারতীয় । -রেডক্রসের ডাক্তার ? -- না, আমি চীনা মেডিকেল ইউনিটের ডাক্তার । p O