পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८० || ८|| শুকিয়েছিল আগেই-এখন যেন বুকের রক্ত পৰ্য্যন্ত জমে গেল। এই ফাকা মাঠে বোমা ফেললে ট্রেণের চিহ্ন খুজে মিলবে না। তারও গায়ে ছাদ-খোলা ট্রাকৃ গাভী বোঝাই সৈন্য, কারও মৃতদেহ এর পর সনাক্ত পৰ্য্যন্ত করা যাবে না । এ্যালিস ও মিনিকে বাচানো গেল না শেষে । এরোপ্লেনখানা নীচে নেমে ছো-মারা চিলের মত একটা বোমা ফেলেই তখনি ওপরে উঠে গেল । সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ বিস্ফোরণের শব্দ ! সমস্ত ট্ৰেণখানা কেঁপে নড়ে উঠলো যেন, কিন্তু ট্রেণের বেগ কমলো না । বিমল চেয়ে দেখলে রেলখানি থেকে দশ গজ দূরে একটা জায়গায় বিশাল গৰ্ত্তের সৃষ্টি করে মাটী, ধূলো, ঘাস, বালি অন্ততঃ পচিশ ত্ৰিশ হাত উদ্ধে উৎক্ষিপ্ত করে কালো ধোয়ার আবরণের মধ্যে বোমাটা সমাধি লাভ কবেছে । বোমারু তাগ ঠিক করতে পারেনি । আর মাইল পাঁচ ছয় পরে একটা রেলষ্টেশন । গাডীখানা সেখানে গিয়ে দাড়াবার পূর্বেই দেখা গেল ষ্টেশন থেকে প্ৰচুব ধোয়া বেরুচ্ছেলোকজন ছুটোছুটি করছে-একটা হট্টগোল, কলরব, ব্যস্ততার ভাব । ট্ৰেণখানা ষ্টেশনে গিয়ে দাড়াতেই দেখা গেল জাপানী বিমান থেকে বোমা ফেলে ষ্টেশনটাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। টিনের ছাদ দুমড়ে বেঁকে ছিটকে বহু দূরে গিয়ে পড়েছে, একপাশে আগুণ লেগে গিয়েছেগোটা প্ল্যাটফৰ্ম্মে মানুষের ছিন্ন ভিন্ন মৃতদেহ, কারো হত, কারো পা, क द्धि भू७ । নিকটে একখানা গ্ৰাম । গ্রামের চিহ্ন রাখেনি বোমারুর দল | ইনসেনডিয়ারি বোমা ফেলে সারা গ্রাম জালিয়ে দিয়েছে। ট্রেণ থেকে সবাই নেমে সাহায্য করতে ছুটলে । গ্রামের লোক বেশী মরেনি-তবুও বিমল দেখলে গ্রামের পথে চার-পাঁচটা বীভৎস মৃতদেহ Sv)