পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵፵ርጫ፵ V5ኟ1 ቕዘCeኝ কাছেই একটা তাঁবু। মাঠের মধ্যে কিছুদূরে জাপানীদের সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছে। এটা ফিল্ড হাসপাতাল । ট্ৰেণ থেকে মেয়ে সৈন্যদের ক্রমেই নামিয়ে দেওয়া হোল । ট্ৰেণ খানা যেখান থেকে এসেছিল সেখানে ফিরে যাবে বলে পিছু হঠে চলে গেল । কোনো বড় ষ্টেশনে গিয়ে এঞ্জিন খানা সোজা করে জুড়ে নেবে। সম্পূর্ণ নতুন জায়গা । যেন অনেকটা পূর্ববঙ্গের বড় বড় জলা অঞ্চলের মত । ফসলের ক্ষেত নেই- সামনে একটা বিল কিংবা ঐ ধবণেব জলাশয় - দীর্ঘ দীর্ঘ জলজ ঘাসের বন জলের ধাবে। দূরে দূরে মেঘের মত নীল পাহাড় । জায়গাটার নাম সিং-চাং । বিমল নেমে চারিদিকে দেখে অবাক হয়ে গেল । ট্রেণে করে এতদূরে এসে এখানে আবার যুদ্ধক্ষেত্র কি করে এল ? বিমলের ধারণা ছিল জাপানীদের আসল ঘাটি কোনকালে পার হয়ে আসা গিয়েছে । কিন্তু কম্যাণ্ড্যান্ট তাকে বুঝিয়ে বল্লেন এখান থেকে আরও প্ৰায় পচিশ মাইল দূৰ হাং-কাউ সাহর পর্য্যন্ত ওদের সৈন্য রেখা বিস্তুত। সমুদ্রের উপকুল ভাণে অনেক দূৰ পৰ্য্যন্ত ওরা নিজেদের ‘ লাইন ছড়িয়ে বেখেছে। মাটীতে একটা নক্সা একে বুঝিয়েও দিলেন । বিমল একটা অনুচ্চ টিবির ওপর উঠে চারিদিকে চেয়ে দেখলে । কিছুদূরে একটা গ্রাম-পাশে কাদের অনেকগুলো বড় ছোট তাবুসেখান থেকে ধোয় উঠছে, বোধ হয় রান্নাবান্না চলছে । পশ্চিম দিকে একটা বড় শস্যক্ষেত্র, তার ধারে লম্বা লম্বা কি গাছের সারি । মোটের ওপর সবটা নিয়ে বেশ শান্তিপূর্ণ পল্লীদৃশ্য । এ কি ধরণের যুদ্ধক্ষেত্ৰ ? \O8