পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मझCeद्र ७क्षा राigछ খুসি মত ষ্টেশনে পায়চারি করছে, তারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে ওপাশের বাজারের মধ্যে ঢুকে হাল্লা করছে, খাচ্ছে দাচ্ছে বেড়াচ্ছে ।

  • একটা ছোট ছেলে তারের একরকম যন্ত্র বাজিয়ে গাড়ীতে গাড়ীতে

ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছিল। প্রোফেসর লি তাকে ডেকে কি জিগ্যোস করলেন, তাকে কিছু খাবার দিলেন। তারই মুখে বিমল ও সুরেশ্বর শুনলে ছেলেটি অনাথ, স্থানীয় আমেরিকান মিশনে প্রতিপালিত হয়েছিল- এখন সেখানে আর থাকে না । সন্ধ্যার আগে ট্রেন ছাড়লো ! সারারাতের মধ্যে যে কত ষ্টেশন পার হোল, কত ষ্টেশনে বিনা কারণে কতক্ষণ ধরে দাডিয়ে রইল --তার লেখাজোখা নেই। এই রকম ধরণের রেলভ্রমণ বিমল ও সুরেশ্বর কখনো করেনি । ভোরের দিকে ট্রেনখানা একজায়গায় হঠাৎ দাড়িয়ে পড়লো । বিমল ঘুমুচ্ছিল-ঝাঁকুনি খেয়ে ট্ৰেনখানা দাড়াইতেই ওর ঘুম ভেঙে গেল। জানাল দিয়ে মুখ বাড়িয়ে বিমল দেখলে দুধারের মাঠে ঘন কুয়াশা হয়েছে, দশহাত দূরের জিনিষ দেখা যায় না-সামনের দিকে লাইনের ওপর আর একখানা ট্ৰেণ যেন দাডিয়ে- কুয়াশার মধ্যে তার পেছনের গভীর লাল আলো ক্ষীণভাবে জলেছে । ‘প্রোফেসার লিও ইতিমধ্যে উঠেছেন । তিনি বল্লেীন-ব্যাপারটা কি । বিমল বল্পে-সামনে দুখানা ট্ৰেণ দাড়িয়ে এই তো দেখছি। ঘোর ' কুয়াশা বিশেষ কিছু দেখা যায় না । ট্রেন থেকে লোকজন নেমে দেখতে গেল সামনের দিকে এগিয়ে । খুব একটা গোলমাল যেন শোনা যাচ্ছে সামনে । 8 NR