পাতা:মরমেত.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১১)

মনোরম বাদ্য বাজিতেছে; এত শকট যাইতেছে, যে গাড়ীর শব্দে কাণপাতা যায় না, লোকের এত ভিড়, যে যাতায়াতের ধূম ধামে শরীর লোমাঞ্চিত হইয়া উঠে; আহা! সেখানকার মন্দিরের চূড়া সকলই বা কত উচ্চ, তাহাতে যে ঘণ্টা ধ্বনি হইতেছে, তাহা শুনিতে কেমন সুন্দর, আমি সমুদ্রের বালুকাময় তটে অনেক ক্ষণ পর্য্যন্ত বিলম্ব করিয়া এই সকল আশ্চর্য্য বিষয় দর্শন করণে আপেক্ষিণী হইয়া রহিলাম, কিন্তু অনেক চেষ্টা করিয়াও নিকটে যাইতে পরিলাম না।

 রাজকন্যার কনিষ্ঠা ভগিনী মনঃসংযোগ করত এই সকল বিবরণ শ্রবণ করিয়া সন্ধ্যাকালের কিছু ক্ষণ পরে আপনার জানালার দ্বার উদ্‌ঘাটন পূর্ব্বক তথায় দাঁড়াইয়া রহিল, প্রগাঢ় নীলবর্ণ সমুদ্র জলের প্রতি দৃষ্টি করিতে করিতে ভগিনী প্রমুখাৎ যে যে বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়াছে, মনে২ সেই বিস্তারিত নগর, লোকের কলরব এবং বাদ্যের কোলাহল আন্দোলন করিতে লাগিল, আর অনুমান করিল যেন সমুদ্রের অধোভাগে থাকিয়াও আমি মন্দিরস্থ ঘণ্টার শব্দ শুনিতে পাইতেছি।

 পর বৎসর রাজা আপন মধ্যমা কন্যাকে অনুমতি করিলেন, তুমি সমুদ্রের উপরিভাগে গমন করিয়া আপন ইচ্ছানুসারে সন্তরণ করিতে পার।