পাতা:মরমেত.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৭৪)

 তখন সমুদ্রের পূর্ব্বদিকে সূর্য্যদেব স্পষ্টরূপে উদিত হইলেন, উহার উষ্ণ প্রভা সেই শীতল ফেনায় লাগিবাতে মৎস্যনারীকে মৃত্যু যন্ত্রণা কিছুই সহ্য করিতে হইল না। পরমসুন্দর দিবাকরকেও যে চক্ষে দেখিতে পাইল, ঊর্দ্ধ দৃষ্টি করিবামাত্র দেখিল যে উপরিভাগে শত শত স্বচ্ছকায় সূক্ষ্ম জীবগণ অবস্থিতি করিতেছে, তখনও রাজনন্দনের জাহাজস্থ শুভ্রবর্ণ পাইল গুলান তাহার দৃষ্টির অগোচর হয় নাই, এবং ঐ অসংখ্য মনোহর সূক্ষ্ম জীবদিগের মধ্যদিয়াও সে রক্তিমবর্ণের মেঘ সকলকে দেখিল। তাহাদের ভাষা অতি সুমিষ্ট কিন্তু বায়ুবৎ হওয়াতে মনুষ্যজাতি তাহা কর্ণে শুনিতে পায় না, তাহাদের অবয়ব গুলীন মানবদিগের দর্শনাতীত হয়, কোন ব্যক্তিই তাহাদিগকে চক্ষে দেখিতে পায় না। পাখা না থাকিলে ও অতি লঘুকায় প্রযুক্ত তাহারা শূন্য মার্গে অনায়াসে অবস্থিতি করে। মৎস্যনারী ও সেরূপ শরীর প্রাপ্ত হইয়া ক্রমে ক্রমে ফেনা হইয়া উর্দ্ধে উঠিতে লাগিল। কিয়দ্দূরে উত্থিত হইয়া সে উচ্চৈঃস্বরে কহিল আমি এক্ষণে কোথায় আসিতেছি, তাহার সঙ্গী দিগের স্বর যেরূপ নির্ম্মল এবং সূক্ষ্ম তাহার স্বরও সেই রূপ সূক্ষ্ম এবং নির্ম্মল ছিল, পৃথিবীস্থ কোন