পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

이 প্রবন্ধ-পাঠ | ভোজন করিয়া থাকেন । ইহা শুনিয়া তিনি ভাবিলেন,কলিকাতায় গেলে তথায় আমার মান সন্ত্রম রক্ষা করা ভার হইয়। উঠিবে । এই ভাবিয়া তিনি সাহেবের প্রস্তাবে সম্মত হইলেন না । তখন ভধিক অনুরোধ নিষ্ফল জানিয়া ম্যাকুনাটন সাহেব সন্ন্যাসীকে পুকরেই পরীক্ষা করা যাউক ঐরূপ স্থির করিলেন । সমস্ত আয়োজন করা হইল। এবার তাহাকে মৃত্তিকায পোত হয় নাই । সন্ন্যাসী সমাধিস্থ হইলে ম্যানাটন সাহেব তাহাকে সিন্ধুকে ভাবদ্ধ করিয়া আপনার ঘরে বুলাইয়ী রাখিয়া দিলেন । তের দিন অতীত হইলে সিন্ধুক খুলিয়া দেখিলেন, হরিণদের শ্বাস প্রশ্বাস নাই । তাহার সমস্ত শরীর কাঠবং শুষ্ক ই ইয়। গিয়াছে । কিন্তু কিয়ৎকাল পবেই তাহার অচেতন দেহে প্রাণ সঞ্চার হইল। তৎপরে ম্যাকুনাটন সাহেব এই সমস্ত অদ্ভুত ঘটনা কলিকাতায় লাট সাহেবকে লিখিয়া পাঠাইলেন । ঘশল্মীরের মহারাঞ্চল নিঃসন্তান ছিলেন । পুত্ৰ কামনায় তিনি বহুবিধ দৈবানুষ্ঠান করিয়াছিলেন, কিন্তু কোনটাই সার্থক হইল না। তখন তিনি স্থির করিলেন তাহার অদৃষ্টে সন্থান নাই । তৎকালে রাজপুতনায় হরিদাসের মহা প্রাদুর্ভাব । তখন ঈশ্বরলাল নামক মহারাওলের জনৈক মন্ত্রী সস্তানের উদ্দেশে হরিদাসকে দিয়া দৈবামুষ্ঠান করিতে বলিলেন । হরিদ{ল আসিয়া মহারা গুলকে শুচি হইয়া থাকিতে কহিলেন । ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দের ১লা মার্চ তারিখ সমাধির দিন স্থির হইল । নগরের প্রান্তভাগে গৌরী সরোবরের পশ্চিম কুলে প্রস্তরনিৰ্ম্মিত একটা গৃহ ছিল । ইহা দৈর্ঘ্যে ৮ হাত ও প্রস্থে ৬ হাত । হরিদাসের আদেশ ক্রমে গৃহের মেজের ভিতর একটী গর্ত খনন