পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{१ २ প্রবন্ধ-পাঠ । তাহাকে যে ভাবে রাখা হইয়াছিল, তিনি ঠিক সেই ভাবেই বসিয়া ছিলেন। দেখিতে দেখিতে দশ মাস পূর্ণ হইয়া গেল । রণজিৎ সিংহ লুধিয়ানায় ওয়েড সাহেবের নিকট সংবাদ পাঠাইলেন । ওয়েড সাহেব মহারাজের সহিত সমাধি-ক্ষেত্রে গিয়া সন্ন্যাসীকে তোলাইলেন । সকলেই দেখিল, মৃত দেহের স্যায় তাহার শরীর শুস্ক, নিস্পন ও কঠিন হইয়া গিয়াছে। কিন্তু দেখিতে দেখিতে সেই মৃত শরীরে আবার জীবন সঞ্চার হইল। তখন ওয়েড, সাহেব নিস্তন্ধ ও নিরুত্তর হইয়। হিন্দুজাতির যোগবলের ভূয়সী প্রশংসা করিতে লাগিলেন । এই ঘটনার পর হিন্দু দিগের ধৰ্ম্মরাজ্যে বিজয়োৎসব পড়িয়া গেল, দ্বারে দ্বারে কল্যাণরচনা ঝুলিতে লাগিল, এবং শঙ্খ ঘণ্টার মঙ্গল বাদ্যে লাহোর নগর প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল । ১৮৩৬ খৃষ্টাব্দে গবর্ণর জেনারল লর্ড অকল্যাণ্ড কোন বিশেষ সন্ধির জন্য ডাক্তার ভূমণ্ড, ক্যাপটেন ম্যাকগ্রেগর, মাকুনাটন, অস্বরণ প্রভৃতি কয়েক জন সম্রান্ত ইংরাজকে রণজিৎ সিংহের রাজসভায় পাঠাইয়া ছিলেন । তৎকালে মহারাজ লাহোরের নিকটবৰ্ত্তী অদীননগরে অবস্থিতি করিতে ছিলেন । রাজনৈতিক কথা বাৰ্ত্ত শেষ হইয়া গেলে রণজিৎ সিংহ সাহেব দিগকে হরিদাসের আশ্চৰ্য্য ক্ষমতার গল্প করিক্তে লাগিলেন । ঘটনাক্রমে হরিদাসও সেই দিন শিষ্যগণ লইয়া অমৃতসর হইতে অদীননগরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । সাহেবের উৎসুক হইয়া হরিদাসকে দেখিবার জন্য তাহার বাসায় চলিয়া গেলেন । র্তাহারা তথায় গিয়া দেখিলেন, হরিদাস একটী প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত মন্দিরে পর্য্যঙ্কের উপর বসিয়া