পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির যোগবল ও হরিদাস যোগী। ৫৯ অদ্য সমাধিতে দেহত্যাগ করিব । তোমরা সকলে নিকটে এস ”। শিষ্যেরা দুঃখে কাদিতে লাগিল । হরিদাসও একটী নিবরের ধারে যোগ-শয্যায় শয়ন করিয়া মহানিদ্রা প্রাপ্ত হইলেন । নিবারের কল কল ধ্বনিতে র্তাহার আর নিদ্রা ভাঙ্গিল না । এরূপ অদ্ভুত মৃত্যুর কথা অনেকে বিশ্বাস না করিতে পারেন। কিন্তু যাহার শাস্তিপুরের বিশ্বনাথ ক্ষেপাকে জানেন, তাহারা কখনই হরিদাসের মৃত্যু ঘটনা অদ্ভুত বলিয়া অবিশ্বাস করবেন না । শাস্তিপুরে এই ব্যক্তিকে লোকে “বিশে পাগলা" বলিত । বিশ্বনাথের জীবনে অনেক আশ্চৰ্য্য গল্প শুনিতে পাওয়া যায়। মৃত্যুকালে সে পাড়ার ভদ্রলোক দিগকে ডাকিয়া বলিল “ওরে । বিশে আজ মরবে, তোরা দেখবি আয়' । এই বলিয়া বিশ্বনাথ জাহ্নবীতীরে শয়ন করিয়া সুৰ্য্যের দিকে চাহিয়া রহিল ; এবং দেখিতে দেখিলে তাহার প্রাণ-বায়ু উড়িয়া গেল । প্রায় ২০২৫ বৎসর است= হইল, তাহার মৃত্যু হইয়াছে। যে সকল সস্ত্রাস্ত লোক তাহাকে দেখিয়াছিলেন, তাহাদিগের মধ্যে অনেকে আজিও জীবিত আছেন । হিন্দুজাতির যোগ-শাস্ত্র ও যোগ-বল ধন্ত ! যাহা শুনিলে অন্তরায়ু শুকাইয় যায় ও সৰ্ব্বশরীর লোমঞ্চিত হইয়া উঠে, তাহাও যোগবলে সাধিত হইয়া থাকে । றகம்