পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর বাদসাহের দরবার | **。 স্থবৰ্ণ, মণি-মুক্ত ও বহুমূল্য শিল্প-কাৰ্য্য-সম্পন্ন ঢাকাই মসলিন ও দেশীয় কৌশেয় বস্ত্রে তিনি তুলিত হইলেন । তৃতীয় বারে অাতর, চন্দন, মৃগনাভি প্রভূতি সুগন্ধি দ্রব্য, এবং ধান, যব ও গোধূম প্রভৃতি শস্যের ওজনে তাহার দেহ ভার গ্রহণ করা হুইল । এইরূপে অনেকবার তুলিত হইলে সমস্ত দ্রব্য সামগ্ৰী গুলি তিনি দীন দরিদ্রদিগকে স্বহস্তে বিতরণ করিতেন । সমাট তুলাদণ্ড হইতে নামিয়া আসিলেন । সম্মুখে তাহার জষ্ঠ নানাবিধ সুমিষ্ট ফল ও মিষ্টান্ন সামগ্রী রক্ষিত হইয়াছিল । তিনি তাহ অঞ্জলিপূর্ণ লইয়। পার্শ্ববর্তী রাজন্ত ও ওমরাহুদিগের মধ্যে ছড়াইয়া দিলেন । র্তাহারা ও সম্রাটের প্রসাদ কুড়াইক্তে ব্যস্ত হইয়া গেলেন । জন্মতিথির দিন যাহা কিছু আপশুক হইত, তাহা সম্রাটের অন্তঃপুর হইতেই দেওয়া হইত । মোগল সম্রাটগণের মতোদিগকে বাদসা-বেগম বলিত । তাহার - সম্রাট সস্তানদিগের মঙ্গল কামনায় তুলাকাৰ্য্যের যাবতীয় উপদান সামগ্রী অন্তঃপুর হইতেই পাঠাইয়া দিতেন । দিল্লীর অন্তঃপুরে একটা রেশমের রজ্জ্ব থাকিত। সম্রাটের জীবনে যত জন্মোৎসব হইত, বাদসা-বেগম প্রতিবৎসর সেই দিনে সেই রজুতে একটা করিয়া গির বাধিয়া রাখিতেন” । পূৰ্ব্বোক্ত জন্মতিথি উৎসবের পর রাজদূত রো সাহেৰ স্বদেশে প্রতিগমন করিবার জন্ত সম্রাটের অনুমতি প্রার্থনা করিলেন । সম্রাট ও রাজা জেমসের জন্য স্বাক্ষরিত এক খানি পত্র লিথিয়া রো সাহেবের হস্তে প্রদান করিলেন । পত্র লইয়া রাজমৃতও স্বদেশ গমন করিলেন। পত্র খানির ভাবার্থ এই “যখনআপনি আমার এই পত্র খানি খুলিবেন, তখন যেন আপনার