পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবন্ধ-পাঠ । לאל প্রবেশ করিলেই ভঁাহাকে বিনষ্ট করিবেন। কিন্তু দাসীরা বিঃ রূপে জানিতে পারিয়া ছুরী খানি কাড়িয়া লইল । তখন আর অন্ত উপায় নাই ; সুতরাং তিনি নখাঘাতে আপনার মুখমণ্ডল ক্ষত-বিক্ষত করিতে লাগিলেন। মুখচন্দ্রের সৌন্দৰ্য্য কমিয়া গেল । তাহার পর একখানি পাথরে মাথা ঠুকিয়া তিনি প্রাণত্যাগ করেন। সুজার দুই কন্যা বিষ খাইয়৷ মরিল। অবশিষ্ট আর একটী কন্যাও অধিক দিন জীবিত ছিল না। সুজার দুর্দশার সংবাদ পাইয়। আরঙ্গজীব পুলকিত হইয় উঠিলেম । কিন্তু তাহার মনে একদিনেরও জন্য সুখ জন্মে নাই । শাজেহান বৃদ্ধদশায় আট বৎসর কারারুদ্ধ ছিলেন । পাছে । র্তাহার অমুগত সৈন্তের। কখনও বিপদ ঘটায়, এজন্য তিনি সৰ্ব্বদাই উদ্বিগ্ন থাকিতেন। এদিকে দারা এখনও জীবিত আছেন; তাহার পুত্র সলিমান স্ত্রীনগরে গিয়া আশ্রয় লইয়াছেন । অবসর পাইলে তাহারাও বিপদ ঘটাইতে পারেন । তদ্ভিন্ন পিতাকে কারারুদ্ধ রাখিয়া রাজ্যলাভের যে সহজ কৌশল তিনি দেখাইয়া দিয়াছেন, তাহার নিজ পুত্রেরাও যে সেই কৌশল শিথিয় লয় নাই, তাহাই বা বিচিত্র কি ? রাজাদিগের মন সৰ্ব্বদাই সন্দিগ্ধ। ক্ষমতাবান লোক র্তাহাদিগের চক্ষুশূল । আপনার ছায়। দেখিলেও রাজাদিগের মন ঈর্ষায় শিহরিয়া উঠে । সুতরাং সকল আশঙ্কা হইতে মিরুদ্বেগ হইবার জন্ত তিনি আপনার জ্যেষ্ঠপুত্ৰ মহ্মদকে গোয়ালিয়রের তুর্গে যাবজ্জীবন আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন। মহ্মদের একটী অপরাধও হইয়াছিল। বাঙ্গালায় যুদ্ধের সময়ে তিনি শা-মুজার কস্তার রূপলাবণ্যে মোহিত হইয় তাহাকে বিবাহ করেন । সুতরাং