পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ প্রবন্ধ-পাঠ । স্বীয় অভীষ্ট-সিদ্ধির জন্ত প্রত্যক্ষে তাহার যশোগুণ কীৰ্ত্তন করে, তথাপি পরোক্ষে তাহার নিনা করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হয় না। ধনোপার্জন বিদ্যাশিক্ষার মুখ্য উদ্দেশু নহে । যাহার। এরূপ মনে করেন, তাহার। কখনই বিদ্যার প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করিতে পারেন নাই । অতএব কি ইতর, কি ভদ্র, কি ধনী, কি নির্ধন, কি বালক, কি বুদ্ধ, কি নর, কি নারী সকলেরই এতাদৃশী সৰ্ব্বহিতকারিণী বিদ্যাশিক্ষার অনুশীলন করা সৰ্ব্বতেভাবে বিধেয় । W. শাস্ত্রচর্চা ও জ্ঞানলাভ । জ্ঞানই বিষ্ঠাশিক্ষার মুখ্য উদ্দেশু ও শাস্ত্রচর্চার চরম ফল । জ্ঞান অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ ও গুরুতর সামগ্ৰী জগতে আর দ্বিতীয় নাই । নিরস্তর শাস্ত্রপাঠ করিলেই জ্ঞানোৎপত্তি হয়, এরূপ নহে ; ঔষধ মুসেবিত ন কইয়া কেবলমাত্র নামোচ্চারিত কইলেই রোগের উপশম হইতে পারে না । নীতিজ্ঞ হইযা নীতিজ্ঞের অনুরূপ কাৰ্য্য না করিলে নীতি-শাস্ত্র-পাঠ বিড়ম্বনামাত্র । র্যাহারা নীতি-শাস্ত্র-পাঠ করিয়া নীতি-বাক্য গুলি কাৰ্ঘ্যে পরিণত করেন, তাহারাই যথার্থ বিদ্বান ও জ্ঞানবান । জ্ঞানবৃক্ষ হৃদয়ে অঙ্কুরিত, জিহ্বায় পুষ্পিত ও কাৰ্য্যে ফলিত হইয়া থাকে। যাহা দ্যায্য তাহার সম্যক জ্ঞান ও পরিগ্রহণ, এবং যাহ। অন্তায় তাহার নির্বাচন ও পরিবর্জন করাই জ্ঞানোৎপত্তির প্রথম পরিচায়ক । যাহার কার্য্য কথার অনুরূপ, যিনি স্বল্পমূল্যে চিরনিৰ্ম্মল ও চিরস্থায়ী সুপ ক্রয় করিতে পারেন, যিনি ধনী হইয়াও ন ম ও দরিদ্র হইয়াও উন্নত, এবং দুৰ্ব ত্ত ষড়রিপু যাহাকে কখনও অভিভূত