পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 3 প্রবন্ধ-পাঠ | স্বাস্থ্য । স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্যহীন জীবন জীবনই নহে— বিড়ম্বনামাত্র । উষর-প্রক্ষিপ্ত-বীজাঙ্কর সমুদ্রগমের স্তায় চিরব্যাধি-গ্ৰস্ত নষ্ট-স্বাস্থ্য লোকের নিকট কোন রূপ সুফল প্রত্যাশা করা যাইতে পারে না । বিদ্যালোক-প্রদীপ্ত গুণ-গ্রাম-ভূষিত অতুল-ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়া ব্যাধি-মন্দিরে থাকিয়া রাজত্ব করা অপেক্ষ অজ্ঞান-তিমিরাচ্ছন্ন, চিরমুর্থ ও ভিক্ষোপজীবী হইয়৷ সুস্থ শরীরে থাকিয়া কথঞ্চিৎ দিনপাত করাও বরং সহস্ৰগুণে শ্লাঘা ও প্রার্থনীর । সময়ে সময়ে ব্যাধি-নিষ্পীড়িত ও উত্থানশক্রি-রহিত দেহভার বহনাপেক্ষ মৃত্যুও অধিকতর আলিঙ্গ্য বলিয়া বোধ হয় । প্রাচীন পণ্ডিতেরা কহেন, “প্রথমতঃ শরীর-রক্ষা, দ্বিতীয়তঃ ধৰ্ম্ম সাধন” । তাহাদের মতে শরীরের সুস্থত। সম্পাদন করাই জীবনের সর্বপ্রধান ব্রত। অতএব এই নশ্বর দেহ যাহাতে আমরণকাল সুখ-স্বচ্ছনে থাকিতে পারে, তদ্বিষয়ে আবাল বুদ্ধ সকলেরই মনোযোগী হওয়া কৰ্ত্তব্য । সকলের ধাতু ও প্রকৃতি সমান নহে ; এক জনের পক্ষে যে নিয়ম পথ্য ও হিতকর বলিয়া বোধ হয়, অন্তের পক্ষে তাহা অসহ্য ও অনিষ্টকারী হইয় উঠে । এজষ্ঠ স্বাস্থ্যরক্ষার কোন সাধারণ নিয়ম দেখিতে পাওয়া যায় ন। ; আপনাকেই বুঝিয়া লইয়! চালাইতে হয় । যেরূপ নিয়মে থাকিলে তোমীর শরীর অসুস্থ হইয়া পড়ে, অমনি তাহ পরিত্যাগ করিবে । কিন্তু আপাততঃ অমিষ্টকর হইতেছে না বলিয়। কদাপি তাহ পথ্য ও হিতকর মনে করিও না। যৌবনাবস্থায়