পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার ল্যাজ । দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ চলিয়া গেল । দত্ত মহাশয় কোনও উপায়ের আবিষ্কার করিতে না পারিয়া গ্রামবাসীর ও পরিশেষে নিজের উপর অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। সঙ্কল্প ব্যর্থ হইলে মানুষের ক্ৰোধ উত্তরোত্তর বদ্ধিত হয়। নটবর সকল গ্রামবাসীর উপর হাড়ে চটিয়া গেলেন। হায় ! রায়বাহাদুর-রূপ সোনার ল্যাজটির আশা কি শেষে তঁহাকে পরিত্যাগ করিতে হইবে ? বিশেষ অনুসন্ধানে দারোগ অবগত হইলেন, রমেশচন্দ্ৰ বসু নামক যুবকটিকে যদি কোনরূপে মোকদ্দমায় জড়ান যায়, তাহা হইলে বরমগঞ্জের স্বদেশী আন্দোলনকে অনেকটা কায়দা করিতে পারা যায়। রমেশচন্দ্র এম, এ, পাশ করিয়া কলিকাতায় আইন পড়িতেছিলেন । সম্প্রতি পূজার বন্ধে দেশে আসিয়াছেন । গ্রামেব সকলেই ভঁাহাকে ভালবাসে, দেবতার মত ভক্তি করে । বাজারের ব্যবসায়ী ও দোকানদারেরা তঁহার কথা বেদবাক্য বলিয়া মানিয়া চলে । ছেলের দলের তিনি নেতা । ইতির ভদ্র সকলেরই বিপদ আপদে তিনি পরম বন্ধু। রমেশ সংবাদপত্ৰে প্ৰবন্ধ লিখিয়া গ্রামবাসীদিগের অভাব অভিযোগ জানান। মামলা মোকদমা হইলে পরামর্শ দেন। এক কথায় রমেশচন্দ্র গ্রামের C瓦不听$1 দারোগ। এই মিতভাষী সৰ্ব্বজনপ্রিয় যুবকটির কাৰ্য্যের উপর লক্ষ্য রাখিলেন । ܘ ܬ