পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজার অর্ঘ্য । মোক্ষদা স্বামীর পানে সবিস্ময়ে চাহিয়া রহিল। আজ শিবদাসের বাক্য, ব্যবহার, সকলই যেন রহস্যময়। শিবদাস বলিল, “মুকুন্দপুরের জমীদার রামতারণ বাবুর নাম বোধ হয় শুনিয়াছ। তিনি নিঃসন্তান। অগাধ বিষয়-সম্পত্তির কেহ উত্তরাধিকারী নাই। সেই জন্য তিনি কোনও সদ্বংশজ ভদ্রঘরের একটি শিশুকে পোষ্যপুত্ররূপে গ্ৰহণ করিতে চান। আমার কাছে প্ৰস্তাব এসেছে, বুঝেছ ? গরীব না হলে ত আর কেউ ছেলে বেচে না । তিনি আমার বড় ছেলেটিকে চান। যদি রাজি হও, নগদ এক হাজার, কিন্তু ছেলেটিকে এ জন্মে, অন্ততঃ রামতারণ বাবু যত দিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন দেখতে পাবে না।” । মোক্ষদার নয়নযুগল বিশ্বন্ধারিত হইল। কি ভয়ঙ্কর প্রস্তাব ! বক্ষের ক্ষীর-ধারায়, অন্তরের স্নেহ-সুধায় পালিত, নাড়ীছেড়া রত্নকে পরের হাতে জন্মের মত সঁপিয়া দিতে হইবে ? ইহজন্মে। তাহার সহিত কোনও সম্বন্ধ থাকিবে না। হা অদৃষ্ট ! আজি তাহাকে এমন কথা ও শুনিন্তে হইল । পোড়া পেটের জন্য তাহার হৃদপিণ্ডটিকে উপাড়িয়া ফেলিতে হইবে । রাক্ষসী ক্ষুধার তৃপ্তির নিমিত্ত সুমহান, পবিত্র মাতৃত্বের গৌরব সে কেমন করিয়া বিসর্জন করিবে ! ন-না ! মোক্ষদা এত নিষ্ঠুর, এমন চণ্ডাল হইতে পরিবে না ! বরং সে নিজে মরিবে। শিবদাস পত্নীর মনের অবস্থা বুঝিল । পুত্ৰমেহ, কত পবিত্র, কত মধুর, তাহা কি সে জানিত না ? প্ৰাণ ধরিয়া A S .