পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজার অর্ঘ্য । দুই হস্তে মুখমণ্ডল আবৃত করিয়া মোক্ষদা বলিল, “উঃ ! থামা, থাম, আর ও কথা বলিও না। এমন কাজ আমি কিছুতেই করিতে পারিব না । সে আমার নাড়ী-ছেড়া ধন, বুকের পাজরা !” দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া শিবদাস বলিল, “আচ্ছা, তবে থাক। দাও, একটু তেল দাও, স্নান করে আসি।” দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । নিস্তব্ধ। রজনীর অন্ধকারে, ছিন্ন কস্থায় শয়ন করিয়া, মোক্ষদ আকাশ-পাতাল কি ভাবিতেছিল । সমগ্ৰ বিশ্ব তখন সুপ্তিমশ্ন । বাতাস সমস্তদিন ছুটোছুটির পর তখন শ্ৰান্ত হইয়া পড়িয়াছিল। মোক্ষদার দুই পাশে তাহার পুত্ৰ দুইটি পরমনিশ্চিন্তভাবে ঘুমাইতেছিল। তাহদের শ্বাস-প্ৰশ্বাস-জনিত শব্দ ও স্বামীর নাসিকাগর্জন অন্ধকারময় কুটীরের গভীর নীরবতা ভঙ্গ করিতে ছিল। সকলেই সুপ্তিময়, কিছুক্ষণের জন্য সকলেই সমস্ত জ্বালা-যন্ত্রণা ভুলিয়া একটু শান্তিলাভ করিতেছে, কিন্তু মোক্ষদার অদৃষ্ট আজ সে শান্তিও দুর্লভ। তাহার পোড়াচক্ষে निय़| नाशे ! দারিদ্র্য তাহাকে নানারূপে নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত করিয়াছে সত্য, কিন্তু তাহার অপত্যস্নেহকে এত দিন স্পর্শ করিতে পারে Q R ?