পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজার অর্ঘ্য। শচীন্দ্ৰ বলিল, “কিরে ভজা, মিছে গোলমাল কছিস কেন ?” জমীদারকে সম্মুখে পাইয়া ভজহরির সাহসী হইল। শচীন্দ্র তাহাকে একটু ভালবাসিত। সে বলিল, “হুজুর, ঠাকুর অন্যায় গোল বাধাচ্ছেন। ওঁর কাছে আমি যে জিনিস বন্ধক রেখেছিলাম, সে সব আমার ঘরে ; আছে । এ জিনিস डांशा ।” ব্ৰাহ্মণ বিরক্তভাবে বলিলেন, “ভজহরি, কেন মিথ্যা কথা বলিস? তখন তুই ঘরের সব বাসনপত্র না দেখাইলে কি আমি তোকে অত টাকা দিতাম ? তোকে বিশ্বাস করাই আমার ভুল হয়েছিল ।” অমাত্যবর্গের মধ্য হইতে ঐক জন বলিল, “আচ্ছ ভজ, তোর ঘরে এখন অন্য বাসনপত্র আছে ?” “আজ্ঞে, কেন থাকবে না ? আমার সঙ্গে পাইক দিন । যদি না নিয়ে আসতে পারি, আমায় দু’শ জুতা মারবেন।” তখন সকলে সেই প্ৰস্তাবে সায় দিল । পোদার বলিল, “বাবু, তা হলে আমায় আর কেন কষ্ট দেন, আমার জিনিস নিয়ে চলে যাই ?” ভজহরি বলিল, “পোদ্দার মশায়, তুমি তোমার জিনিস নিয়ে যাও। শুধু শুধু তুমি কেন বসে থাকবে ? গোল ত মিটে Cोव्न ।” ব্ৰাহ্মণ দেখিলেন, ব্যাপার বড় সুবিধাজনক নহে। সকলেষ্ট ভজহরির পক্ষ । তার ঘরে বাসনপত্র বেশী নাই। কেবল 8S