পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । বৈশাখের অপরাহ্। আকাশে বারি-বিদ্যুৎ-ব্যাকুল মেঘরাশি ছুটাছুটি করিতেছিল। পবনের বেগও প্রখর । শরৎচন্দ্ৰ স্কুলের ছুটী দিয়া তাড়াতাড়ি গৃহে ফিরিতেছিলেন। সহসা পশ্চাৎ হইতে কেহ উচ্চৈঃস্বরে ডাকিল, “মাষ্টার । মাষ্টার !” শরৎচন্দ্ৰ ফিরিয়া দেখিলেন, খাকী ড্রিলের ‘মিলিটারী’ পোষাকে মূৰ্ত্তিমান হেমকান্তি ! “তুমি অসময়ে কোথা থেকে কবিবর ?” কসমেটিক্‌ দেওয়া ভ্রমরকৃষ্ণ গুম্ফরাজির নিম্নপ্রান্ত হইতে হেমকান্তির পরিমিত হাসিটুকু দেখা গেল । বন্ধুর পাণিপীড়ন করিয়া সে বলিল, “সম্প্রতি কলিকাতা হইতে আসিতেছি, তোমার সহিত বিশেষ প্রয়োজন আছে।” ছাত্রজীবন-অবসানের পর আজ পাঁচ বৎসরের মধ্যে একখানি পত্র দ্বারাও যে হেমকান্তি বন্ধুর পবিত্র স্থতি রক্ষা করা আবশ্যক মনে করে নাই, কলিকাতা হইতে সুদূর পল্লীপ্রান্তে এহেন দরিদ্র বন্ধুর নিকট হেমকান্তির কি প্রয়োজন ভাবিয়া শরৎচন্দ্ৰ কিছু কৌতুহলী হইয়া পড়িলেন । বৃষ্টি আগত দেখিয়া শরৎচন্দ্র বন্ধুসহ বাহিরের ঘরে প্রবেশ করিলেন। ভূত্য আলোক জালিয়া দিল । ধূমপান করিতে >Wrゲ