পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তি না ধৰ্ম্ম ? অনুসারে চন্দন-চাঁচ্চিতা পুষ্পমাল্যে জনক-জননীর চরণ বন্দনা করিয়াছিল, সেই সুপবিত্র দিনের স্মৃতি আজ বেদান্তবাগীশের হৃদয়ে জাগিয উঠিল । জ্ঞানচন্দ্ৰ ধে এক দিনও পিতা মাতার পাদ্য-অৰ্ঘ্য পান না করিয়া আহাৰ্য্য স্পশ করিত না ! প্ৰতিদিন প্ৰত্যুলে উঠিয়া গায়িত্রীজপ ও বেদপাঠ না করিয়া কোনও কৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করিত না ) পাশ্চাত্য শিক্ষা তাহার হৃদয়কে স্বধৰ্ম্মে আরও অনুরক্ত করিয়া তুলিয়াছিল। ব্রাহ্মণ আশৈশব স্বয়ং পুলকে পৰ্ম্মশিক্ষা দিয়াছিলেন, তাহার প্রত্যেক দিবসের কাৰ্য্যকলাপ তীক্ষ্মী বিচার শক্তির দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করিষা দেখিযাছিল, কিন্তু কই তাহার হৃদয়ের দুর্বলতার চিহ্ন কোনও দিন তা তিনি লক্ষ্য কাধিতে পারেন নাই ! তবে আঞ্জ অকস্মাং হিমালয়েৰ উন্নত চুড়া ভাঙ্গিয়া পড়িল কেন ? ভূত্য আসিয়া দুইবার সংবাদ দিল, আহাৰ্য্য প্ৰস্তুত, মা ঠাকুরাণী তাহার অপেক্ষা করিতেছেন । ব্ৰাহ্মণ তখনও নিশ্চল প্ৰতিমার মা ও বসিয়া রহিলেন । অকারণ বিলম্বে বাড়ীর লোক চঞ্চল হইয়া উঠিল। গৃহিণী প্ৰমাদ গণিয়া স্বয়ং বহির্বাটীতে আসিলেন । বেদান্তবাগীশ, তখন একখানি পত্র লেখা শেষ করিয়া উঠিয়া দাড়াইয়াছেন । স্বামীর আরক্ত নয়ন, মেঘাচ্ছন্ন গগনের ন্যায় গম্ভীর মুখমণ্ডল দেখিয়া অনিশ্চিত আশঙ্কায় পত্নীর হৃদয় কঁপিয়া 09