পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিসর্জন । সুতরাং শশাঙ্কের হৃদয়ে তিলমাত্র শান্তি ছিল না । প্রচ্ছন্ন সন্দেহ মানুষের সকল সুখ হরণ করে। একটা ভিত্তিহীন সন্দেহের ছায়া সৰ্ব্বদা তাহার অন্তরকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিত। আহারে, বিহারে, নিদ্রায় বা স্বপ্নে, কিছুতে তাহার भछि छिा •ा । কোনও আত্মীয়ের গৃহেও পত্নীকে পাঠাইতে শশাঙ্কের সাহস হইত না । তাহার মনে সর্বদা আশঙ্কা ছিল যে, তাহার রূপসী পত্নীটকে লুফিয়া লইবার জন্য সমগ্র পুরুষজাতি যেন উদগ্রীব হইয়া বসিয়া আছে। এরূপ আশঙ্কার একটি কারণও ছিল । শৈলবালা একে সুন্দরী, তাহাতে বিদ্যালয়ের পরীক্ষেত্তীৰ্ণ । পিতা মাতার একমাত্র সন্তান বলিয়া ভঁাহারা সযত্নে শৈলবালাকে নানারূপ ললিতকলা শিক্ষণ দিয়াছিলেন । বাঙ্গালা সাহিত্যের বড় বড় কবির অনেক কাব্য তাহার কণ্ঠাগ্রে ছিল। এই সকল কারণে হতভাগ্য শশাঙ্ক বড়ই উদ্বিগ্ন ও অসুখী ছিল। ভিনোলিয়া ও পেয়ার্সের সাবান তাহার দেহের বর্ণকে অপেক্ষাকৃত উজ্জল করিয়া তুলিতেছে কিনা, প্ৰত্যহ শতবার দর্পণের সম্মুখে দাড়াইয়া শশাঙ্ক তাহা মনে মনে বিচার করিয়া দেখিত। তাহার ভয় ছিল, বিদুৰী, রূপবতী পত্নী বুঝি তাহার এ মূৰ্ত্তিতে পরিতৃপ্ত নহে! মনোরঞ্জনার্থ সৰ্ব্বদা পত্নীর অঞ্চল ছায়ায় থাকিতে শশাঙ্ক ভালবাসিত না ; কিন্তু তাঁহাকে নয়নের অন্তরালে রাখাও নিরাপদ নহে, এ চিন্তাও শশাঙ্কের হৃদয় ዓክ”