পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিসৰ্জন । এত বয়স পৰ্যন্ত শশাঙ্ক জননীর মুখের উপর জোর করিয়া একটিও কথা কহিতে সাহস করে নাই। আজ সে তীব্র স্বরে বলিল, “যাও, যাও, বিরক্ত ক’রো না । আমার क्छुि झग्न नि ।” ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । শ্বাশুড়ীর প্রাণভরা আশীৰ্ব্বাদ লইয়া শৈলবালা স্বামিসন্দর্শনে চলিল। অনেক দিন পরে আজ তাহার মুখখানি প্ৰফুল্ল পদ্মের মত দেখাইতেছিল। সদ্যোনিদ্রোখিত খোকা মাতার কোলে চড়িয়া জননীর স্নেহদ্দীপ্ত মুখের পানে চাহিয়া একগাল হাসিয়া ফেলিল। গভীর স্নেহভরে শৈল পুত্রের মুখচুম্বন করিয়া তাহাকে বুকের উপর তুলিয়া লইল । গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়াই শৈলবালা ভূমিষ্ঠ হইয়া স্বামীকে প্ৰণাম করিল। কিন্তু শশাঙ্ক মুখ ফিরাইয়া নীরবে: বসিয়া রহিল । শৈলবালা, মানসিক প্ৰফুল্লত বশতঃ স্বামীর ভাবান্তর লক্ষ্য করে নাই। সে পুত্রকে স্বামীর কোলের উপর বসাইয়া দিয়া সহাম্ভে বলিল, “আজ বিজয়া, খোকাকে আশীৰ্ব্বাদ কর।” s