পাতা:মহম্মদের জীবনচরিত্র ও মহম্মদীয় রাজ্যের পুরাবৃত্ত.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশতি সহস্র সৈন্য সামন্ত ছিল। তাছাদের সম্মুখে রাজ্য সম্পৰ্কীয় যে যুদ্ধপতাকা যাইত, তাহ বহুমূল্য নানাবিধ রক্ষ্মেতে শোভিত বাক্ষর হস্ত দীর্ঘ ও অষ্টি হস্ত প্রস্থ একটী চিতা ব্যান্ত্রের চৰ্ম্ম। কারণ তাছার দেড় সহস্র বর্ষ পূৰ্ব্বে নিষ্ঠুর শক্ৰগণ পারস্য দেশ হস্তগত করিলে এক জন সামান্য কৰ্ম্মকার স্বদেশীয়দিগের অগ্রগামী হইয়া আপনার ফুলিঙ্গ নিবারক চর্মনিৰ্ম্মিত আবরণ যুদ্ধপতাকা করিখ শত্রুদিগকে পরাজয় করণ পূর্বক দূর করিয়াছিল। অতএব যে যুদ্ধে সেই পতাকার ব্যবহার হইবে,তাহাতে আমরা অজেয় হইব, এই ৰূপ পরম্পরাগত কখা পারসীকদিগের মধ্যে প্রচলিত ছিল। পরে কাল ক্রমে সেই কৰ্ম্মকারের গাত্রাবরণ চৰ্ম্ম জীর্ণ হইলে তাকার পরিবৰ্ত্তে উক্ত বিশাল ব্যান্ত্রের চৰ্ম্ম রাজপতাকা হইল, পারসীক লোকের আরবিদিগকে অতিশয় তুচ্ছ জ্ঞান পুৰ্ব্বক কহিত, হরিদ্বর্ণ গিরগিটা তোমাদের ভক্ষা, ও লবণাক্ত জল তোমাদের পেয়, এবং উঐ প্রভৃতি পশুর মোট লোমের বস্ত্র তোমাদের আচ্ছাদক ; কিন্তু সেই অসভ্য লোকের যুদ্ধেতে অতিশয় বিক্রমশালী ছিল। যদ্যপি কেবল ত্ৰিশ সহস্র আরবি সৈন্য ছিল, তথাপি তাহার তিন দিবস যুদ্ধ করণনিস্তর চতুর্থ দিনে জয়ী হইল। তৃতীয় দিবসের রাত্রিতেও মশালের আলোতে যখন মনুষ্যচুর্যুকারি “যুদ্ধৰূপ পেষণী ” ঘুরিতেছিল, তখন অতি প্রসিদ্ধ কাব্যরচিকা খান্‌স নামী বিধবার চারি পুত্র হত হইল। মাতা সায়ংকালে তাছাদিগকে কহিয়াছিলেন, যেখানে তুমুল যুদ্ধ ও অধিক রক্তপাত দেখিব, সেই স্থানে সংগ্রাম করিও। পরে তাহদের মরণ ১৪৬ কাদেশীয়ার যুদ্ধ।