পাতা:মহম্মদের জীবনচরিত্র ও মহম্মদীয় রাজ্যের পুরাবৃত্ত.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Եց পরিখার রণ। পরে আর এক জন পুরুষ তাহাকে মহম্মদের তাঁবুতে লইয়া গেলে আইশার প্রতি ব্যভিচার দোষের সন্দেহ জন্মিল ; তাহাতে মহম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি এ বিষয়ে কী বোধ কর? অালী তাহাঁকে দোষী করিলেন, কিন্তু মহম্মদ কিছু কাল পরে মৃগীরোগগ্রস্ত হইয়া কছিলেন, আইশ নির্দোষী বটে, ইহা আমার নিকটে দৈববাণীদ্বারা প্রকাশ হইয়াছে; আর যে ব্যক্তি স্ত্রীলোকের ব্যভিচার দোষ আরোপ করে সে যদি চারি छनँ সাক্ষী না দিতে পারে তবে তাছাকে অশীতিবার কোড় প্রহার করা যাইবে । অতএব উক্ত দেয প্রযুক্ত * এক জন কবি এবং মহম্মদের এক জন শালী উভয়ই তদ্রুপ দণ্ড পাইল । কোরেশ ও যিহুদীয় লোকের মদীনা আক্রমণার্থে উদ্যত হইলে মহম্মদ চতুর্দিগে পরিখা করিয়া নগর রক্ষা করিলেন । এই পরিখ তিনি স্বহস্তে খনন করতে লাগিলে সকলের প্রবৃত্তি জন্মিল। ঐ কৰ্ম্ম ছয় দিনে সমাপ্ত হওয়াতে দশ সহস্ৰ শত্রু পঞ্চদশ দিবস অবধি নগর আক্রমণ করিলেও তাহাদিগের চেষ্ট্র বৃথা হইল। এই সময়ে এক দিন আলী আপন পিতৃব্য আমরুর সহিত যুদ্ধ করিয়া তাঁহাকে পরাজয় করিলেন ; তাহাতে অমর ভূমিতলে পুতিত হইলে তিনি বক্ষঃস্থলে আরোহণ পূৰ্ব্বক খড়মদ্বারা তাহার কণ্ঠ ছেদন করিলেন । ধৰ্ম্মের নিমিত্ত এৰূপ কঠোর কৰ্ম্ম পূৰ্ব্বে কখন হয় নাই । মহম্মদের কেবল তিন সহস্র সৈন্য ছিল, এ কারণ তিনি দেবগুজক ও যিহুদীয় লোকদের মধ্যে বিবাদ জন্মাইয়া দিলেন। • ইবন শিক।