পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৯ অষ্টম পরিচ্ছেদ ছিল । বলিয়া অবশাঙ্গে বসিয়া আক্ষেপ করিতেছেন । কেহ বা বলিতেছে, “ধৰ্ম্মদ্ৰোহীর কঠিন শাস্তি হওয়াই উচিত তাহাতে কাহারও ক্ষুণ হইবার কারণ নাই ।” মনসুরের সহাধ্যায়ী দরবেশ শেখ আবুবকর শিবলী বন্ধুর এই দৈব দুৰ্ব্বিপাকে সমধিক মৰ্ম্মাহত ও বিষন্ন । তাহার হৃদয়ে যেন পাষাণ পিষিয়া যাইতেছে। যদি কোন প্রকারে এই বিপত্তির নিরাকরণ করিতে পারেন, যদি কোন কৌশলে মন্‌সুরের মনের গতি ফিরাইয়া ভঁাহার জীবন রক্ষা করিতে পারেন, এই আশায় আশ্বস্ত হইয়া তিনি শশব্যস্তে মনসুরের সমীপস্থ হইলেন এবং বহুবিধ প্ৰসঙ্গের অবতারণা করার পর দুঃখের সহিত প্ৰবোধ-বাক্যে কহিলেন, “ভাই, জানিয়া শুনিয়া আপনার প্রাণ আপনি বিসৰ্জন করিতে চলিলে ! ইহা কি তোমার ন্যায় সুপণ্ডিত সূক্ষ্মদৰ্শী ব্যক্তির অনুরুপ কাৰ্য্য ? যে হৃদয় সুদৃঢ় নগরাজ সদৃশ অটল ও অদম্য ছিল, আজ তাহা সহসা বিচলিত ও বিপৰ্য্যস্ত হইল কেন ? কোন সূত্ৰে কোথা হইতে এই চিত্ত বৈকল্য উপস্থিত হইয়া তোমাকে এই নিদারুণ অবস্থায় পাতিত করিয়াছে ? তোমার সেই অবিচলিত অধ্যবসায়, সেই অমানুষিক সহিষ্ণুতা, সেই দেব-দুৰ্লভ ইন্দ্ৰিয়-সংযম, সেই প্রখর বিবেকবুদ্ধি আজ কোথায় ? গুরুপদেশের কি এই পরিণাম ? নিজৰ্জন ধ্যান-ধারণা, অসামান্য শাস্ত্ৰজ্ঞান শেষে কি অজ্ঞানতায় পৰ্য্য বসিত হইল ? যে বিষয় এক ব্যক্তি সত্য ও স্বতঃসিদ্ধ বলিয়া বিশ্বাস করে, কিন্তু জগৎ অসত্য ও অন্যায় জ্ঞানে ঘৃণা, নিন্দা ও