পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১১৯ দশম পরিচ্ছেদ অবতার সাধক মনসুর মুদিতনেত্ৰে বিশ্ববিধাতার গুণকীৰ্ত্তন করিয়া প্ৰাৰ্থনা করিলেন । তৎপরে সরল প্ৰাণে উদ্ধ িদকে চাহিয়া কহিলেন , “মনুষ্যের স্কুল দৃষ্টির দৃশ্য আমার স্থূল হস্ত কৰ্ত্তিত হইল, কিন্তু যে হস্ত নরদৃষ্টির বহিভূত, আমার সেই অদৃশ্য সূক্ষ্ম হস্ত কাটিতে এ জগতের কাহারও ক্ষমতা নাই ।” এই উক্তির পরেই শোণিতােদ্ৰ বাহুমূলে আপনার মুখমণ্ডল ঘৰ্ষণ করিলেন মুখশ্ৰী রক্তিমরাগে রঞ্জিত হইল। তখন শেখ শিবলী ভগ্নহৃদয়ে কাতর কণ্ঠে তাহার কারণ-জিজ্ঞাসু হইলে তিনি কহিলেন, “আমি সেই পরাৎপর পরম বন্ধুর প্রিয় কাৰ্য্য ‘নমাজ নিৰ্ব্বাহ করিব বলিয়া ‘অজু করিতেছি, পাৰ্থিব জীবনের শেষ সাধ মিটাইয়া লইতেছি । ভাই ! আমি আত্মশ্লাঘা করিতেছি না, জানিবেন ; প্রেমের জন্য প্ৰেমিক আপনার জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে,—যথাৰ্থ বন্ধুত্ব প্ৰয়াসী যিনি, তিনি বন্ধুর গ্ৰীতি সম্পাদনাৰ্থ সকলই করিতে পারেন । তাহার পক্ষে পানির বদলে স্বীয় শরীরনিঃসৃত তপ্ত রক্তে ‘অজু করাই প্ৰশস্ত ও গৌরবের বিষয় । যে ব্যক্তি হৃদয়ের রক্ত দ্বারা ‘অজু-ক্ৰিয়া সমাধা না করে, তাহার ‘নমাজ সিদ্ধ নহে, সে প্ৰেমাস্পদের নিকট সম্মানিত নহে । তাহার চিরাকাজিমক্ষত পরমপদ লাভে বঞ্চিত হওয়াও অসম্ভব নহে ।” মহৰ্ষির এই বাক্য অবসানের সঙ্গে সঙ্গে তাহার পদযুগল কৰ্ত্তিত হইল । অমনি তিনি মুক্ত কণ্ঠে কহিলেন, “বাগদাদ-বাসিগণ ! এ পদ পাৰ্থিব—নশ্বর পাৰ্থিব পদ কৰ্ত্তন করা কঠিন কাৰ্য্য নহে, কিন্তু যে পদ আনন্দময়ের