পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর ৫ ০০ পরন্তু সাধারণের অভিপ্ৰায় এবং মনসুরের পরিণাম, এই উভয় দিক্‌ ভাবিয়া সেই আঘাতের প্রতিঘাত তিনি আপনিও অনুভব করিলেন । তাই তিনি স্থির-ধীর-নীর ব-গম্ভীর ভাব ধারণ করিলেন । কিন্তু কি করিবেন ? অবশেষে অনেক চিন্তার পর এই প্ৰকাশ্য পাপের প্রায়শ্চিত্ত-ব্যবস্থা করা সৰ্ব্বাগ্ৰে কৰ্ত্তব্য বিবেচনা করিয়া ক্ষুদ্ধচিত্তে মনসুরকে কারাগারে বন্দীভাবে , রাখিতে অনুমতি প্ৰদান করিলেন । এদিকে সত্যাকৃষ্ট মনসুর যখন রাজপুরুষগণ কতৃক ধৃত হইলেন, তখন চতুৰ্দিকে মহা কোলাহল সমুথিত হইল । জনসজস্ব মহৰ্ষির অগ্ৰপশ্চাৎ কি যেন এক মহোৎসবে মত্ত হইয়া চুটিল । তপোধন অবিলম্বে ভীষণ কারাভবনের দ্বারদেশে নীত হইলেন । নিৰ্দয় রাজকৰ্ম্মচারিগণ তঁাহাকে কারারক্ষকের হস্তে সমৰ্পণ করিল—মনসুর বন্দী হইলেন । আহা কি আক্ষেপ ! কি ঘোর যাতনা৷ !! জনসভা আবার তখনই কোলহল করিতে করিতে ফিরিল ; বাগদাদের ঘরে ঘরে আনন্দ-স্ৰোত বহিল, আবালবৃদ্ধ বনিতার মুখে এই কথাই চলিল । মন্‌স্বরের দুঃখে কেত হৃষ্ট, কেহ কৃষ্ট, কেহ বা সমবেদনায় নীরবে অশ্ৰমোচনে নিরত হইল । জনৈক গ্ৰন্থকার স্বীয় গ্ৰন্থমধ্যে এইরুপ লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন যে, যখন মহৰ্ষি ধৃত ও প্রহরী-বেষ্টিত হইয়া কারা দ্বারদেশে উপস্থিত হইলেন, সেই সময়ে এক ব্যক্তি অবজ্ঞার সহিত উপহাস করিয়া উচ্চৈঃস্বরে মনসুরকে কহে, “ওহে সুফি ! তুমি যদি সাধনার বলে প্রকৃতই সিদ্ধপুরুষ হইয়া থাক, তবে