পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর ৬৬ আবার স্বয়ং তন্মধ্যস্থিত ক্ষুদ্ৰ এক জলবিম্ব । অক্ষয় অবিনশ্বর সমুদ্ৰ-গৰ্ভ হইতেই বিম্বের উৎপত্তি এবং তাহাতেই তাহার স্থিতি । সুতরাং সমুদ্ৰ ও জলবিম্বে কি পাৰ্থক্য পরিলক্ষিত হইয়া থাকে ? কখনই নহে । এ উভয় পদাৰ্থ কেহ কখন কাহারও সঙ্গ পরিত্যাগ করে না । একের বিয়োগে, একের অভাবে দ্বিতীয়ের অস্তিত্ব পৰ্য্যন্ত বিলুপ্ত হইয়া থাকে । কিন্তু অবিস্ব ক্ষণভঙ্গুর, অনিত্য, ক্ষণস্থায়ী ; উহা পরিণামে প্ৰেম ভরে ভগ্ন হইয়া সেই মহাসাগরে বিলীন হইয়া যায় । শেষে যখন সে আপনার অস্তিত্ব লোপ করিয়া সাগরে মিলিত হইয়া থাকে, তখন আবার ওটী সাগর এটী তদুৎপন্ন বিম্ব, এরপ পাৰ্থক্য প্ৰদৰ্শন করিবার কারণ কি আছে ? মুগ্ধ ! চক্ষুর সদ্ব্যবহার কর, একবার নয়ন উন্মীলন করিয়া দেখ, এই পৃথিবীর ক্ষুদ্ৰ বৃহৎ যাবতীয় স্থানে যাবতীয় পদাৰ্থে সেই অচিন্তাশক্তি বিশ্ব-প্ৰকাশক সৰ্ব্বগুণৈকনিলয় পরমপুরুষ মহিমা গেীরবে সুস্পষ্ট দেদীপ্যমান রহিয়াছেন । প্ৰত্যেক বস্তুতে তাহার সমুজ্জল স্নগ্ধ জ্যোতিঃ নিহত থাকিয়া জগতের আনন্দ বিধান করিতেছে । যাহার অন্তর হইতে অন্ধকারাবরণ অন্তরিত হইয়াছে—ব্যবধান তিরোহিত হইয়াছে—জ্ঞানাঞ্জন সহযোগে যাহার নয়ন-পঙ্কজ বিশদভাবে বিকশিত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি সুস্পষ্টরুপে তদীয় বিশ্ব-বসুধা-ব্যাপ্ত বিরাটু একত্ব দেখিয়া-শুনিয়া তঁহাকে কোন ধারণায় কোন মুখে দ্বিতীয় বলিয়া নিৰ্দেশ করিতে পারে ? কি প্রকারে ‘তুমি আমি