পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর ৭8 জ্ঞানবৃদ্ধ ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য জুনোদ শাহ, এই মৰ্ম্মান্তিক সংবাদে প্ৰথমে স্তম্ভিত হইলেন—তাহার মুখকান্তি সহসা পান্তরিত হইল। অতঃপর কিয়ৎক্ষণ নীরব থাকিয়া তিনি সাধন-কুটীর হইতে বাহির হইলেন এবং কতিপয় প্ৰবীণ লোকের সহিত শশব্যস্ত কারাগৃহাভিমুখে ধাবিত হইলেন । তথায় উপনীত হইয়া দেখিলেন, সংখ্যাতীত লোকের সমাগম হইয়াছে । কি ভয়ানক বিরাটু ব্যাপার! সকলের উত্তেজনা ও অভিপ্ৰায় দেখিয়া-শুনিয়া তিনি ভীত হইলেন ; কি যে বলিবেন, তাহা ভাবিয়া ঠিক করিতে পারিলেন না । অবশেষে এক উচ্চ স্থানে দণ্ডায়মান হইয়া সকলকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক ধীরগম্ভীরে কহিলেন, —“হে ইসলামের ধৰ্ম্মভীরু প্ৰিয় সন্তানগণ! হে সমাজের শান্তিকামী সুধীবৰ্গ ! আপনারা আজ ধৰ্ম্মের জন্য—ধৰ্ম্মাবমাননার প্ৰতিশোধ লইবার জন্য এখানে উপস্থিত হইয়াছেন দেখিয়া৷ পরিতুষ্ট হইলাম । ইহা আপনাদের ধৰ্ম্মনিষ্ঠার জ্বলন্ত উদাহরণ , —সমাজের জীবন্ত শক্তির প্রকৃষ্ট প্ৰমাণ, সন্দেহ নাই। কিন্তু একটী কথা-বিশেষরপ বিবেচনা না করিয়া কোন গুরুতর কাৰ্য্যে উৎসাহিত ও অগ্রসর হওয়া বুদ্ধিমানের কৰ্ম্ম নহে। আমি ভরসা করি, আল্লার অনুগ্ৰহে আপনারা আমার বাক্যে বিরক্ত না হইয়া ধৈৰ্য্যাবলম্বন করিবেন। দেখুন, এই মনসুর অবোধ নহে ; ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্মে তাহার যথেষ্ট আস্থা ও অচলা ভক্তি দেখিতে পাওয়া যায়। ইসলাম-সম্মত নমাজ ও অন্য ক্ৰিয়াকলাপ সম্পাদনে তাহার কিছুমাত্ৰ ক্ৰটি পরিলক্ষিত হয় না । তবে মাত্ৰ একটী