পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার প্রার্থনা।” তাহার নিকট যে ঐ সমস্ত কষ্ট নিতান্ত তুচ্ছ বিবেচিত হইয়াছিল তাহা বলা বাহুল্য । আমরা শুনিয়াছি চট্টগ্রামের পথে এক জঙ্গলময় স্থানে বন্য মহিষ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় তাহার জীবন সংশয় ঘটিয়াছিল। কিন্তু বিধাতা তাহাকে আশ্চৰ্য্যরূপে রক্ষা করেন। ঈশ্বর-বিশ্বাসে বলীয়ান হইলে মানুষ বিপদকে কিরূপে তুচ্ছ করে তাহা তাহার জীবনে দেখিতে পাই । এই প্রকার লোকদিগকে গীতাকার স্থিতধী বলিয়াছেন । * বৃস্তুতঃ পরমেশ্বরই, হঁহাদিগকে ভয় দুঃখ বিহীন করেন। যে পথে তঁাহার এইরূপ বিপদ ঘটে তথায় তাহার সঙ্গে একটা মাত্ৰ পথ-প্ৰদৰ্শক ছিল । চলিতে চলিতে র্তাহারা পথ ভুলিয়া বনপথে গিয়া পড়িয়াছিলেন । এই সময় দেখিতে পাইলেন, কিছুদূরে প্রকাণ্ড একটী বন্য মহিষ শৃঙ্গ আস্ফালন করিতে করিতে প্ৰচণ্ড বেগে তাহদের দিকে অগ্রসর হইতেছে। তঁহাদের আর বিবেচনাপূর্বক কৰ্ত্তব্য নিৰ্দ্ধারণের অবসর রহিল না ; অল্পীক্ষণ মধ্যে আততায়ী সম্মুখে আসিয়া পড়িল । ইতিমধ্যে অকস্মাৎ প্ৰবল বাতাসে কাশার বন সরিয়া যাওয়াতে, কুম্ভকারের খনিত একটা গৰ্ত্ত দেখিয়া তাড়াতাড়ি ঐ গর্তে প্ৰবেশ করিতে ইচ্ছা! করিলেন । ইহাতে সঙ্গী বলিল—“না জানি ঐ গর্তে কোন হিংস্ৰ জন্তু বাস করিতেছে।” তিনি বলিলেন—“উপরে থাকিলেও যখন জীবনের আশা নাই, তখন যেখানে গিয়া একটু সময় স্থিরভাবে ঈশ্বরের নাম করিতে পারি। সেই স্থানেই যাওয়া উচিত।” এই বলিয়া তাহারা সেই গৰ্ত্তে প্ৰবেশ করিলেন।

  • “দুঃখেষু অসুদ্বিগ্নমনা: সুখেষু বিগতস্পহঃ, ।
  • বীতরাগভয়ক্ৰোধ: স্থিতধী: মুনিরুচ্যতে।”

शैडों २४७