পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

百f商q丐@吋可1 soo সত্যপ্রিয়তাকে রক্ষা করতঃ ঈশ্বরকে প্ৰভু বলিয়া সম্বোধন করিতে হইবে, তবেই সংগ্রামে জয়লাভ হইবে।” অতঃপর তিনি বরিশাল হইতে কলিকাতা প্রত্যাগমন করেন । । , এদিকে ঢাকাতে যে অগ্নি প্ৰজ্বলিত হইয়াছিল উহার প্রভাবে ঢাকাস্থ শিক্ষিত যুবকগণের মধ্যে বিশেষ ধৰ্ম্মোৎসাহ জন্মিয়াছিল। তথায় যুবকদের মধ্যে যে সঙ্গত সভার প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল, গোস্বামী মহাশয় উহার আলোচনা ও কীৰ্ত্তনাদিতে যোগ দেওয়াতে নব উৎসাহ ও অনুরাগের সঞ্চার হইয়। উহাকে জাগ্ৰত করিয়া তুলিয়াছিল । এই সময় তথাকার সঙ্গীতের আলোচনা ও প্রার্থনায় কখন কখন রাত্রি একটা বাজিয়া যাইত, তবু সময়ের প্রতি কাহারও দৃষ্টি পড়িত না । শ্ৰীযুক্ত ভুবনমোহন সেন মহাশয় বলিয়াছেন ;—“সঙ্গীতের সভ্যগণের প্রার্থনা আলোচনা ও সাপ্তাহিক লিপি পাঠে সময় সময় ক্ৰন্দনের রোল পড়িত ; চক্ষুর জলে পুস্তকের পাতা ভিজিয়া যাইত ; এবং ব্যাকুল যুবকগণের অনুরাগ ও উচ্ছাসে এক স্বৰ্গীয় ভােব অবতীর্ণ হইত। সে আলোচনার ফল আলোচনা মাত্ৰে পৰ্য্যবসিত না হইয়া সঙ্গীতের সভ্যগণকে নব নব সংকল্প গ্ৰহণে প্ৰবৃত্ত করিত।” ঢাকা ব্ৰাহ্মসমাজের উৎসাহী সভ্য শ্ৰীযুক্ত বঙ্গচন্দ্র রায় মহাশয় উক্ত সভার পরিচালক এবং শ্ৰীযুক্ত ভুবনমোহন সেন, তার কবন্ধু চক্ৰবৰ্ত্তী প্রভৃতি উহার প্রথম উৎসাহী • সত্য ছিলেন । গোস্বামী মহাশয় প্ৰবল উৎসাহে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতেছেন, কিন্তু তাহার আর্থিক অভাবের অভাব নাই। ‘দারিদ্র্যের কশাঘাত সহ করা প্রচারকের পক্ষে অবশ্য কৰ্ত্তব্য’। এই বিশ্বাসে ঘোর দারিদ্র্যের মধ্যেও তাহার উৎসাহ অবিচলিত রহিয়াছে। অর্থাভাব এতদূর যে পত্র লিখিবার পয়সাটী নাই, স্ত্রীর রোগে ঔষধপথ্যের ব্যবস্থা করিতে পারেন।