পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভালবাসা ও দিয়া । ܗܶ নৈতিক জ্ঞান। ইহার নৈতিক জ্ঞান অত্যন্ত প্ৰখর ছিল । কোন সময়ে শান্তিপুরের মহিলারা সূক্ষ্মীবস্ত্ৰ পরিধান করিতেন ; উহাতে লজ্জাহীনতার পরিচয় পাওয়া যাইত। তিনি এক সভা করিয়া এই কুপ্রথা রহিত করিতে বদ্ধপরিকর এহইয়াছিলেন । ইহাতে অনেকে বিরক্ত হন । এক দিন কতকগুলি দুষ্টা স্ত্রীলোক অতি প্ৰত্যুষে গঙ্গায় স্নান করিতে যাওয়ার পথে, তাহাকে মনে করিয়া তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে (ইনিও দেখিতে তাহার ন্যায় স্কুলাঙ্গ ছিলেন ) প্রহার করিল, তিনি চীৎকার করিয়া বলিতে লাগিলেন--—“আমি বিজয় গোসাই নাই, আমি বিজয় গোসাই নাই ।” অন্যায়ের প্রতিরোধ করিতে গিয়া তাহাকে অনেক সময় এইরূপ বিপন্ন হইতে হইয়াছিল। কিন্তু তিনি সৰ্ব্বদা নিৰ্ভীক ছিলেন। マtる不さ下マ{i ベ> 不st I গোস্বামী মহাশয়ের অন্যতম সহাধ্যায়ী যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় এক স্থলে লিখিয়াছেন—“বিজয়ের হৃদয় দয়ার সাগর ছিল। তঁহার কাৰ্য্য-প্ৰণালী দেখিয়া বোধ হইত যেন তিনি জগতের দুঃখ-ভার মোচন করিবার জন্য জগতে অবতীর্ণ হইয়াছেন । বিজয়ের ভালবাসার যদিও তত বিকাশ ছিল না, তথাপি উহা অতি গভীর ছিল । বিপদে নু পড়িলে বিজয়ের ভালবাসার গভীরতা উপলব্ধি করা যাইত না । ” বন্ধুজনের বিপদে ইহা শতগুণ স্ফরিত হইত। যখন বন্ধুজনের বিপদ ভঞ্জনের জন্য তিনি বীরের ন্যায় দণ্ডায়মান হইতেন, কোন বাধা বিপত্তি তখন তাহার গতি রোধ করিতে পারিত না । * * বিজয়ের হৃদয় শোধিত সুবৰ্ণ ; ইহাতে অঙ্কপাত সহজে হইত না বটে। কিন্তু ইহা খোদিত করিলে ইহাতে স্থায়ী অঙ্কপাত হইত।”