পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“দণ্ডয়া যায়। ধৰ্ম্মতত্ত্বে পত্র প্রকাশ করিয়া তিনি স্বয়ং তঁাহার ক্ৰট । প্রচার করিয়াছিলেন ; তদ্বারা তিনি নিজে হতমােনও হইয়াছিলেন, কিন্তু উহাদ্বারা সত্যের জয় ঘোষিত হইয়াছিল। পক্ষান্তরে, ইহাও প্ৰচারিত হইয়াছিল-“তিনি সত্যের প্রচারে অকপট ছিলেন, সত্যের । অনুসরণে সর্বপ্রকার স্বার্থপরতা ও জয়াশা বিহীন ছিলেন ।” তঁাহার ধৰ্ম্মতত্ত্বে প্ৰকাশিত উক্ত পত্র নিয়ে উদ্ধত হইল ঃ-- ‘ভক্তিভাজন শ্ৰীযুক্ত কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয়ের প্রতি কয়েকজন ব্ৰাহ্মস্রাতার ভক্তি প্ৰকাশে আতিশয্য দর্শনে ব্যথিত হইয়া তন্নিবারণের জন্য । আমি বিগত আশ্বিন মাসে উহা সাধারণের গোচর করিয়া- ? ছিলাম । সেই সময় হইতে এই ব্যাপার লইয়া ব্ৰাহ্ম-মণ্ডলীর মধ্যে মহা আন্দোলন চলিতেছে ; এবং অনেক স্থলে উহাতে ভয়ানক বিবাদবিসস্বাদ উৎপন্ন হইয়াছে। অনেকে উৎসাহ পূর্বক পরস্পরের গ্লানি প্রচার করিতেছেন ; এবং অনেক দুর্বলচিত্ত ব্যক্তির আবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বৃদ্ধি হইতেছে। এই সমুদয় অনিষ্ঠ ফল দেখিয়া আমি যারপর নাই দুঃখিত হইয়াছি। আমিই অনেকটা এই আন্দোলনের মূল কারণ। এই জন্য আমার আরও বিশেষ দুঃখ হইতেছে। অতএব ইহার অনিষ্ট ফল নিবারণের জন্য আমার এ সময় চেষ্টা পাওয়া কৰ্ত্তব্য। আমার পূর্বাবধি হৃদগতভােব কি এবং আন্দোলন সম্বন্ধে বিশেষ অনুসন্ধান করিয়া? আমি যাহা জানিতে পারিয়াছি, তাহা ব্ৰাহ্ম-মণ্ডলীর নিকট বিনীত ভাবে প্ৰকাশ করিতেছি । ঈশ্বর করুন যেন এই পত্ৰদ্বারা সকলের সন্দেহ বিষাদ দূর হয় এবং সকলের মধ্যে সত্য ও সস্তাবের বিস্তার হয়। T আমি পূর্বেও বলিয়াছি, এখনও বলিতেছি যে উল্লিখিত ভ্রাতারা যে প্ৰণালীতে ভক্তি প্ৰকাশ করেন তাহা আমার বিবেচনায় দুষণীয়