পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ৰটী স্বীকারে মহত্ত্ব । - ኃጿ9% আমার হৃদগতি বিশ্বাস-সুচক এই পত্ৰ i করিয়া তাহারা সকল সংশয়। দূর করুন। বর্তমান গোলযোগে চতুদিকে যে ভয়ানক শুষ্কতার মহামারী উপস্থিত হইয়াছে তদ্বারা যে কত ভ্রাতার সর্বনাশ হইতেছে তাহা বলা যায় না। এক্ষণে বিশেষ উৎসাহের সহিত এই মহামারী নিবারণ এবং প্ৰকৃত বিশ্বাস ও ভক্তি বিস্তারে যত্নশীল হইয়া আপনাদিগের এবং দেশস্থ ভ্ৰাতাদিগের মঙ্গল সাধন করুন ।” ১৭৯১ শক, শ্ৰীবিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ১৫ই আষাঢ় । উক্ত পত্ৰ পাঠ করিয়া নানালোকে নানারূপ মন্তব্য প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। কেহ কেহ লেখককে অস্থিরচিত্ত বলিতেও কুষ্ঠিত হন নাই, এ সম্বন্ধে কলিকাতার ঠাকুরদাস সেন মহাশয় যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহার কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি ঃ “কেহ কেহ এই মাত্ৰ বলিতে পারেন তিনি ( গোস্বামী মহাশয় ) অধীর ও চঞ্চল হইয়া এমন কাৰ্য্যে কেন প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন। র্যাহারা এরূপ বলিৱেন-ভঁহাদিগের উৰ্দ্ধে দৃষ্টি নাই। র্তাহাদিগের দৃষ্টি নিম্নদিকেই ধাবিত হয় । তাহারা গোস্বামী মহাশয়ের সরল উচ্চভাৰ গ্ৰহণে অসমর্থ। তিনি সত্য-প্রিয়। সত্যের অনুরোধে তিনি নিজের । মান-মৰ্য্যাদার দিকে ভ্ৰক্ষেপ করেন না। সাত আট মাস পূৰ্ব্বে তিনি যাহা সত্য বোধ করিয়াছিলেন তখন সেইমত কাৰ্য্যই করিয়াছিলেন । এক্ষণে অনুসন্ধান দ্বারা যাহা সত্য বলিয়া তাহার হৃদয়ে প্ৰতীতি হইল, তৎক্ষণাৎ তাহাই প্রচার করিলেন। লোকে আমাকে কি বলিবে এই নীচতাব তাহার উন্নত মনকে সত্য প্রচারে বাধা দিতে পারিল না ।