পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার। ۹ واد আবেগময়ী ভাষাতে মৰ্ম্মের কথাগুলি শুনাইয়া'শ্রোতৃবৃন্দের মৰ্ম্মস্পর্শ করিয়াছিলেন ।” যে ভক্তি, ব্যাকুলতা এবং ধৰ্ম্মোচ্ছাসে তিনি বঙ্গবাসীকে মোহিত করিয়াছিলেন। রংপুরেও তাঁহারই প্ৰভাবে আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন ঘটিয়াছিল। রংপুর হইতে তিনি কুচবেহার গমন করেন । তথায় তঁহার বক্তৃতায় প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক একত্ৰ হয়। এই বারেই কুচবেহারে ব্ৰহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠার সূচনা হয়। এখানে তিনি হৃদরোগে নিতান্ত কাতর হইয়া পড়িয়াছিলেন ; এজন্য তাড়াতাড়ি শান্তিপুরে আসেন, এবং তথা হইতে কলিকাতা প্ৰত্যাগমন করেন । ইতি মধ্যে মহাত্মা রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের পরিচয় হয় । পরমহংসের জীবন্ত বৈরাগ্য দর্শনে কেশবচন্দ্ৰ বৈরাগ্যসাধনে প্ৰবৃত্ত হইয়া গোস্বামী মহাশয়কে কলিকাতা আহবান করেন । তিনি কলিকাতা আসিয়া দেখিলেন কেশবচন্দ্ৰ স্বহস্তে রন্ধন করিয়া আহার করিতেছেন । আর যাহাতে ব্ৰাহ্মসমাজে বৈরাগ্য প্ৰবেশ করে তাহার বিশেষ চেষ্টা হইতেছে। তখন কেহ বৈরাগ্যের প্রতিবাদী, কেহ সমর্থনকারী ছিলেন। ক্রমে অনেকের দৃষ্টি গভীর ধৰ্ম্মসাধনের প্রতি পড়িল ; সাধু অঘোরনাথ যোগ ও গোস্বামী মহাশয় ভক্তি সাধন ব্ৰত গ্ৰহণ করিলেন । তৎকালের সাধন বিবরণ পরে বিবৃত হইতেছে । পর বৎসরে গোস্বামী মহাশয় আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের সঙ্গে প্রচার্যার্থে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে যাত্ৰা করেন ; এবং বহুক্লেশ স্বীকার পূর্বক লক্ষ্মৌ দেরাদুন, বেরিলি, সাজিহানপুর, সাহারণপুর, লাহোর, অমৃতসর, আগ্ৰা, কাণপুর, এলাহাবাদ, জব্বলপুর প্রভৃতি নানা স্থানে ভ্ৰমণ করিয়া, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করেন। এবৎসরও কঠিন পীড়ায় তাহার জীবন সংশয় উপস্থিত হইয়াছিল ; কিন্তু বহু চিকিৎসা ও সেবায় ভগবৎ