পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্বপুরুষ-পিতা ও মাতা । VE) গঙ্গা-জলে ধৌত করিয়া শুকাইয়া লইতেন ; এ কারণ শাস্তিপুরের লোকেরা তাহাকে “লাকড়ি-ধোয়া গোসাই” বলিত । ভক্তি-গ্ৰন্থ পাঠে ইহার এরূপ অনুরাগ ছিল যে, শ্ৰীমদ্ভাগবত পাঠ করিতে করিতে একেবারে তন্ময় হইয়। যাইতেন ; ক্ষণে ক্ষণে র্তাহার শরীর রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিত, চক্ষু হইতে ঝরে ঝর করিয়া অশ্রুপাত হইয়া পুস্তকের পাত। ভিজিয়া। যাইত ; আর মাঝে মাঝে “রাধাকৃষ্ণ’ ‘হরেকৃষ্ণ”। বলিয়া এমন হুঙ্কার করিয়া উঠিতেন যে তাহাতে দূরস্থ লোক পৰ্যন্ত চমকিয়া উঠিত । তাহার নিষ্ঠ। কিরূপ বলবতী ছিল তাহা ইহা দ্বারাই প্ৰতিপন্ন হইবে যে সৰ্ব্বদা গলদেশে শালগ্ৰামশিলা ধারণ করিতেন ; এবং স্বীয় বাস-ভূমি শান্তিপুর হইতে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিতে করিতে পুরীর জগন্নাথ দর্শনে গমন করিয়াছিলেন। মৃত্তিকার ঘর্ষণে ঘর্ষণে তাহার বুকে ঘা হইয়। গিয়াছিল ; সঙ্গে তাহার এক পিসি -ছিলেন, তিনি ঘায়ে কান্ত জড়াইয়া দিয়াছিলেন, কিন্তু তবুও নিরস্ত হন নাই । এইরূপ কঠোর ক্লেশ-সহকারে জগন্নাথ দর্শনের পর তঁহার এই ক্ষণজন্ম। সন্তান বিজয়কৃষ্ণের জন্ম হয় । সাধনার প্রিয়-সন্তান বিজয়কৃষ্ণ উত্তর কালে ধৰ্ম্মার্থে যে ঐকাস্তিকতা, নিষ্ঠ ও ক্লেশ-স্বীকারের পরিচয় দিয়াছেন, তাহা আনন্দকিশোর গোস্বামী মহাশয়ের পুলেরই উপযুক্ত। পিতা পুত্ররূপে জাত হয়, •ইহা প্ৰবাদ-বাক্য নহে ; ইহাতে গভীর সত্য নিহিত রহিয়াছে { পিতার সুধন-নিষ্ঠ। মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ বিশেষভাবে লাভ কক্লিয়া । ছিলেন । বস্তুতঃ এমন নিষ্ঠাবান পিতা ন হইলে এমন পুত্ররত্ন-লাভ দুল্লাভ হইত । ፥ ...

  • আনন্দকিশোর গোস্বামী মহাশয় শিস্য-ব্যবসায় ও ভাগবত্যাদি। শাস্ত্র-পাঠ দ্বারা সংসারযাত্রা নিৰ্বাহ করতেন, শস্য-ব্যবসাখী।