পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন বিষয়কে অসত্য জানিয়াও স্থায়ীভাবে তাহার অনুসরণকে । কপটতা মহাপাপ বলিয়া ঘৃণা করিয়া থাকি।” ኸነ প্ৰতিবাদ ক্ষেত্রে তঁহার দৃঢ়তার প্রমাণ স্বরূপ কয়েক পংক্তি উদ্ধৃত করিতেছি। —“যাহারা আমাকর্তৃক পত্রিকায় প্রকাশিত কথা কেশব বাবুর মুখে স্বকৰ্ণে শ্রবণ করেন নাই তাহাদিগের প্রতিবাদ করিবীয় অধিকার নাই । চন্দ্ৰ সুৰ্য্যের প্রত্যক্ষতা সম্বন্ধে সন্দেহ হইতে পারে। কিন্তু আমার কথায় বিন্দুমাত্ৰও সংশয় নাই । আমি স্বকৰ্ণে স্বয়ং কেশব বাবুর মুখে শ্রবণ করিয়াছি।” আন্দোলন সম্বন্ধীয় তাহার কতকগুলি পত্ৰ উদ্ধৃত করিয়া তৎকালে একজন বন্ধু লিখিয়াছিলেন ;-“বিজয় বাবুর সরল ব্যবহার ও সৎসাহসের প্ৰশংসা করিতে হয় । ঐ সকল পত্রের মধ্যে এমন অনেক কথা প্ৰকাশিত হইয়াছে যাহা পাঠ করিলে যিনি বিজয় বাবুর চরিত্র অবগত নহেন র্তাহার বিজয় বাবুর বুদ্ধি ও সদব্যবহারের প্রতি সন্দেহ হইতে পারে । এরূপ আশঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সত্যের অনুরোধে এবং ব্ৰাহ্মসমাজের মঙ্গল কামনায় নিৰ্ভীক হৃদয়ে ঐ সকল পত্ৰ প্ৰকাশ করিয়াছেন।” আন্দোলন লক্ষ্য করিয়া তাহার সহাধ্যায়ী শ্ৰীযুক্ত যোগেন্দ্ৰনাথ বিদ্যাভূষণ লিখিয়াছেন ;—“বিজয় যদিও এই সংঘর্ষে কেশব বাবুকে প্ৰচণ্ড আক্রমণ করিয়াছিলেন তথাপি ভবিষ্য ঘটনাবলীদ্বারা প্ৰমাণীকৃত। হইয়াছে যে তিনি নিজের প্রবল বিশ্বাসের অনুবৰ্ত্তী হইয়া এরূপ করিয়াছিলেন। কোন স্বাৰ্থ সাধন তাহার লক্ষ্য ছিল না । তঁহার জীবনের সমস্ত ঘটনা সাক্ষ্য দিতেছে যে তিনি নিষ্কাম যোগী ছিলেন । সাংসারিকতা বা আত্মোন্নতি তাহার কাৰ্য্যকলাপের নিয়ন্ত্রী ছিল না ।” * যাহা হউক নানা প্ৰকার বাদ প্ৰতিবাদের মধ্য দিয়া বিবাহ সম্পন্ন

  • বীরপূজা, নব্যভারত।

simu