পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্ম—বাল্যজীবন ও শিক্ষা । . ܗ হয় । যে দিন দ্রব্যাদি ক্রোক হইতেছিল। ঐ দিন ঐ সময়ে স্বৰ্ণময়ী দেবীর প্রসব বেদন উপস্থিত হয়, এবং বিজয়কৃষ্ণের জন্ম হয় ৷ ” • ইহার কয়েক দিন পূর্ব হইতে স্বর্ণময়ী দেবী ‘কঠিন আমাশয়ের পীড়ায় অত্যন্ত রুগ্না হইয়াছিলেন । তখন এক দিকে প্ৰসুতির অসুস্থাবস্থা, পক্ষান্তরে গৃহে দ্রব্যাদি ক্রোকের হাঙ্গামী। প্ৰসুতি ভয়ে সদ্যোজাত শিশুকে ন্যাকড়ায় জড়াইয়। পার্শ্ববৰ্ত্তী গৃহস্থের বাড়ীতে রাখিয়া আসিলেন, এবং পরে কবিরাজ আসিয়া মুসকবর খাওয়াইতে বলিলে ভুলিয়া আফিং খাওয়াইয়া ফেলিলেন । ইহাতে ধনুষ্টঙ্কার হইয়া শিশুর জীবনাশা বিলুপ্ত-প্ৰায় হইল। কিন্তু ভগবৎকৃপাতে একে একে সমস্ত বিপদ কাটিয়া গেলে, শিশুর জীবন রক্ষা হয় । বিজয়কৃষ্ণের জন্মের অল্প দিন মধ্যেই জননীকে শান্তিপুরে স্বামীগৃহে আসিতে হইল ; এবং যখন শিশুর বয়স ছয়মাস তখনই অন্নারম্ভ ও নামকরণ করিয়া তাহাকে জ্যেষ্ঠ পিতৃব্য-পত্নীর হস্তে দত্তক প্ৰদান করা হইল । আনন্দকিশোর গোস্বামী • মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা গোপীমাধব গোস্বামী পরলোক গমন সময়ে বিপত্নীক কনিষ্ঠকে পুনরায় দার পরিগ্ৰহ করিতে অনুরোধ করিয়া এই অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছিলেন যে, তিনি যেন তাহার একটি পুত্রকে স্বীয় নিঃসন্তান বিধবা পত্নীর হস্তে দত্তক প্ৰদান করেন । আনন্দ কিশোর গোস্বামী মহাশয় ‘জ্যেষ্ঠের অভিপ্ৰায় অনুসারে এখন কনিষ্ঠ-পুত্র বিজয়কৃষ্ণকে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতৃ-বধূর হস্তে দত্তক স্বরূপ প্ৰদান করিলেন ; এবং শৈশবেই বালকের প্রতিপালন ভার ইহার হস্তে ন্যস্ত হইল । ইহার প্রায় পাঁচ বৎসর পরে আনন্দকিশোর গোস্বামী মহাশয় পরলোক গমন করেন ; এবং যিনি দত্তক গ্ৰহণ করিয়া প্ৰতিপালন :