পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રર মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । তঁহাদের প্রচার বিবরণ যেরূপ বৰ্ণনা করিয়াছিলেন তাহার মৰ্ম্ম ;- “আমরা প্ৰথমে মধুপুরে যাই ; তথায় প্রায় পািনর দিন উপাসনা, কীৰ্ত্তন, আলোচনায় অতিবাহিত হয় । গোসাইজীর প্রাণস্পশী উপাসনা, আলোচনা এবং মধুর সংকীৰ্ত্তনে প্রতিদিন সায়ংকালে বহুলোক একত্র, হইত ; কীৰ্ত্তনে তিনি প্রায়ই আত্মহারা হইতেন । কীৰ্ত্তন উপাসনাদির সময় ব্যতীত অধিকাংশ সময় তিনি জঙ্গলে ধ্যানে মগ্ন রহিতেন ; ব্যাস্ত্ৰাদি হিংস্র জন্তুর ভয় থাকা সত্ত্বেও দিব্যাবসানেও গৃহে ফিরিতেন না। তৎপর আমরা পচাম্বাতে গিয়া শ্ৰীযুক্ত তিনকড়ি বসু মহাশয়ের গৃহে কয়েকদিন অবস্থান করি। তথায় প্রতিদিন দশটার সময় সমবেত উপাসনা হইত ; গোসাইজীর মুখে তঁাহার স্বরচিত সঙ্গীত শুনিয়া উপাসকগণের মন নিতান্ত আদ্ৰ হইত । তিনি পদ্মাতে নিমজিত হইয়া যে সঙ্গীতটি রচনা করিয়াছিলেন এস্থানে অধিকাংশ সময় সেইটী গান করিতেন। মধুপুরে তঁহার যে ব্যাকুলতা, ধ্যানমগ্নতা ও নির্জনপ্রিয়তা পরিলক্ষিত হইয়াছিল, এখানে উহার আরও বৃদ্ধি হইল ; এবং সৰ্পের নিৰ্ম্মোক যেমন ধীরে ধীরে মুক্ত হইয়া যায়, তেমনি যেন তাহার বাহব্যাপারের সহিত সম্পর্ক 'শিথিল হইয়া আসিতে লাগিল । ধ্যানানুরাগের সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানানুশীলনেও তাহার অত্যন্ত অনুরাগ ছিল ; এ জন্য যখন যেখানে অবস্থান করিতেন শিক্ষার্থীর ন্যায় নিয়মিতরূপে ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠ করিতেন। তাহার প্ৰিয় গ্ৰন্থাবলীর মধ্যে তুলসী দাসের রামায়ণ, নানকের গ্ৰন্থসাহেব বিশেষ উল্লেখ যোগ্য। প্ৰতিদিন অপরাহ্নে তাহার মুখে ভক্তি গ্রন্থের প্রাণস্পর্শী ব্যাখ্যা শুনিয়া শ্রোতৃগণ এরূপ মুগ্ধ হইত। যে উহা ছাড়িয়া বিষয়াস্তরে মনোনিবেশ করিতে কাহারও ইচ্ছা হইত না । ইহার পর আমরা গয়াতে যাত্ৰা করি ; গয়ার শ্ৰীযুক্ত গোবিন্দচন্দ্ৰ