পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশগঙ্গা পাহাড়ে। ৯৩১ দেখিয়াই বলিয়া উঠিলেন, ‘আনন্দ রহ”। এই সাধুর সঙ্গেও তঁাহার ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে অনেক আলোচনা হইল । প্রদোষে আমরা নামিয়া আসিলাম ; আসিতে আসিতে পথে তিনি একটা স্থান দেখাইয়া বলিলেন ;—“এই স্থানে মহাপ্রেমিক শ্ৰীচৈতন্য দেবের ভাবোদয় হইয়াছিল, তিনি কৃষ্ণ বিরহে উন্মত্ত হইয়া “কৃষ্ণরে বাপরে কোথা গোলিরে’ বলিয়া চীৎকার করিয়া কঁাদিয়াছিলেন ।” এইরূপে ভক্তের কাহিনী বলিতে বলিতে তিনিও বালকের ন্যায় কাদিতে লাগিলেন। আমি তঁহার কাতরোক্তি শ্রবণে নিতান্ত অভিভূত হইয়া পড়িলাম। সাধু-চরিত্ৰ-মালায় পাঠ করিয়াছিলাম ধৰ্ম্মের জন্য উন্মত্ত হইতে হয় ; আজ তাহা স্বচক্ষে দর্শন করিলাম ; মনে হইল ইনি প্রকৃতই ধৰ্ম্মের জন্য উন্মত্ত হইয়াছেন । একদিন তিনি সংস্কৃত শাস্ত্ৰ পড়িতেছিলেন ; পড়িতে পড়িতে বলিলেন ;—“শাঁশি, আমার এরূপ ইচ্ছা হইতেছে যে গেরুয়া পরিয়া প্রচার করি। ইহাতে সুবিধাও আছে ; সঙ্গে বেশী কাপড় রাখিবার প্রয়োজন নাই। অধিক কাপড় না। রাখিয়া অধিক বই রাখাই ভাল।” এই বলিয়া ভূত্যকে ডাকিলেন, এবং বলিলেন ;-—“আমাকে ফকির সাজাইয়া দাও।” সেই দিনই বাক্স খুলিয়া কতক কাপড় বিলাইয়া দিলেন, আর অবশিষ্ট গুলি গেরুয়া রঙে ছোপাইয়া লইলেন । গোবিন্দ বাবু কোর্ট হইতে আসিয়া দেখিয়া বলিলেন ;- “এ যে সব व्ंव् व्लाव्ल ट्रशेश॥ ८°ॉब् ।।” একদিন গেরুয়া পরিয়া আকাশগঙ্গা পাহাড়ে যাইতে পথে এক জন লোক আট আনার পয়সা দিয়া তাহাকে প্ৰণাম করিল ; কিন্তু তিনি উহা গ্ৰহণ করিলেন না। আশ্রমে উপস্থিত হইলে বাবাজি বলিলেন ;-“তোমার যেরূপ ব্যাকুলত দেখিতেছি তাহাতে তোমার