পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ફેજ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । গশ্য করা যায় না। অন্ধ ভক্তিকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করিতে হইবে। যাহাতে প্রকৃত ভক্তি ব্ৰাহ্মদিগের ভূষণ হয়, তজ্জন্য ৰ্বিশেষ চেষ্টা করিতে হইবে ।” “ব্ৰাহ্মগণ সৰ্ব্বদা বিবেকের আদেশ অনুসারে কাৰ্য্য করিবেন । যাহা সত্য জানিবেন তৎক্ষণাৎ তাহ প্ৰতিপালন করিতে হইবে।” “দেবদেবীর পূজা, জাতিভেদ যাহা কিছু পৌত্তলি কতা আছে তাহা পরিত্যাগ করিতে হইবে । পৌত্তলিকতার চিহ্ন উপবীত প্ৰভৃতি ধারণ করা মহাপাপ বলিয়া ত্যাগ করিতে হইবে । বাহিরের পৌত্তলিকতা ত্যাগ করিতে যেমন যত্ন করিবে, আন্তরিক পৌত্তলিকতা ত্যাগ করিতে তেমনই যত্ন করিবে । রিপুগণ, স্বার্থপরতা, হিংসা, দ্বেষ, মিথ্যা ও বঞ্চনা প্রভৃতি পুত্তলিকার পূজা করিলে অদ্বিতীয় ঈশ্বরের পূজা হয় না।” “প্রতিদিন ভক্তিভাবে ব্ৰহ্মপূজা করিয়া জীবন সাৰ্থক করিতে হইবে । কিন্তু সেই পূজা যেন প্রণালীগত না হয়। উপাসনা কালে যতক্ষণ ঈশ্বরের আবির্ভাব হৃদয়ঙ্গম না করিবে ততক্ষণ উপাসনা হইল না বলিয়া বিশ্বাস করিবে ।” “নিয়ম ;-প্রতিদিন অনুন তিনবার ব্ৰাহ্মসমাজের অবলম্বিত নিয়মানুসারে অর্থাৎ আরাধনা, ধ্যান, কৃতজ্ঞতা ও প্রার্থনা দ্বারা উপসনা করিতে হইবে ; প্ৰত্যেক ব্যক্তির সপ্তাহে অন্ততঃ একবার পরিবারের মধ্যে উপাসনা করিতে হইবে ; রোগ বা কোন বিশেষ প্ৰতিবন্ধক না হইলে প্ৰতি সপ্তাহে ব্ৰাহ্মসমাজে যাইয়া উপাসনা করিতে হইবে ; শরীর এবং আত্মাকে সর্বদা পবিত্র রাখিতে চেষ্টা করিতে হইবে ; প্ৰত্যেকের স্ব স্ব উপাসনার সময় ভ্ৰাতাদিগকে স্মরণ করিয়া তাহাদিগের দোষ ক্ষমা করিতে হইবে ; পরস্পরের বাসায় কিম্বা বাটীতে গমনাগমন করিতে হইবে ; ভ্ৰাতাদিগের মধ্যে ‘কেহ রোগে বা বিপদে আক্রান্ত হইলে তাহাকে সাধ্যানুসারে উদ্ধার করিতে