পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રહ8. মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । অমৃতরস ঢালিয়া দেন। ঈশ্বরের জন্য প্ৰবল ক্ষুধা অর্থাৎ অনুরাগ হইলেই অনায়াসে যোগলাভ করা যায়। সংসারা সক্তিতে সেই ধৰ্ম্মক্ষুধা নষ্ট হইয়াছে, এজন্য যোগসাধনের প্রয়োজন । শারীরিক ক্ষুধা নষ্ট হইলে যেমন মন্দাগ্নির ঔষধ সেবন করিতে হয়, তেমনি আত্মার অনুরাগ ক্ষুধার মান্দ্যভাব দেখিলেই তাহার চিকিৎসা সাধন ভজন করা নিতান্ত প্ৰয়োজন ।” “স্বার্থপরতাই সকল পাপের মূল। সামান্য ঔষধে এ রোগ নিবারণ করা যায় না । সংসার আসার অনিত্য সৰ্ব্বদা এইরূপ চিন্তা ও আলোচনা এবং সাধুসঙ্গ করিতে করিতে যখন বাস্তবিকই সংসারের তাবৎপদার্থকে অসার অনিত্য বলিয়া দৃঢ় প্রতীতি জন্মাইবে তখনই স্বার্থপরতা বিনাশ পাইয়া তীব্র জীবন্ত বৈরাগ্য প্ৰকাশিত হইবে । ** * এই বৈরাগ্য হইতেই সাধনে অধিকার জন্মাইবে ।” “এই নশ্বর শরীরকে আত্মা বলিয়া বিশ্বাস করাকেই সংসার কহে । এই দেহকে অত্যন্ত ভালবাসার নামই সংসারাসক্তি । যে স্ত্রী কি পুরুষ কেবল আহার, বস্ত্ৰ, অলঙ্কার, গৃহ, শয্যা এই সমস্ত লইয়াই ব্যস্ত সেই সংসারাসক্ত । অনেকে মনে করেন নগর ছাড়িয়া বনে বাস করিলেই সংসার ত্যাগ করা হইল। ইহা অত্যন্ত ভ্ৰম । বনে আসিয়াও আহার লইয়া, কুটার, কৌপীন, আসন, অগ্নিকুণ্ড, কমণ্ডলু লইয়া যে ব্যস্ত সেও সংসারাসক্ত ৷” “ভগবানকে প্ৰেম না করিয়া তাহার সৃষ্টপদার্থ সকলকে ভালবাসা ও তা হাতে আসক্ত হওয়ার নামই সংসার । যতদিন ঈশ্বরে প্ৰেম না হয় ততদিন সংসার ত্যাগ করা যায় না ।” “প্ৰশ্ন।--ভগবান সাকার কি নিরাকার ? উত্তর । —ভগবান সচিদানন্দ । তাহার সীমা নাই, তিনি অনন্ত । তিনি সৰ্ব্বব্যাপী, নিরাকার, চৈতন্যস্বরূপ। আমাদের যেমন শরীর আছে, তঁাহার সেরূপ শরীর থাকা কখনই সম্ভব নয় ।”